সুনামগঞ্জের শাল্লায় সত্তুয়া জলমহালে মাছ ধরতে বাধা দেওয়ায় জনতার; সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) সকালে দ্বিতীয় দফায় সত্তুয়া বিলে মাছ ধরতে আসে আসপাশের এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার জনতা।
পুলিশ সূত্রে আরো জানা যায়, পুলিশ মাছ ধরতে বাধা দিলে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে ধাওয়া দেয় স্থানীয় জনতা। এক পর্যায়ে বিক্ষোভত্ব জনতা জলমহাল ইজারা দারদের ২টি ছাউনি ঘর ও নৌকায় আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এর আগে মঙ্গলবার ১ম দফায় কয়েক হাজার মানুষ এক সাথে ঝড়ো হয়ে লুট করে নেয় জল মহালের মাছ। কিছুদিন ধরে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই, শাল্লা ও জামালগঞ্জ উপজেলার একের পর এক বেশকয়েকটি বিলের মাছ লুট করে নেওয়ার সংবাদ এতিমধ্যে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন, বিলের ইজারাদার ও পাহাড়াদার সাথে কথা হলে জানান, জলমহালের আশপাশের গ্রামসহ উপজেলার বহু গ্রামের হাজার হাজার জনতা আনন্দ-উল্লাস করে বিলের মাছ লুট করে নিয়ে গেছে। শাল্লায় এমন পরিস্থিতি বিগত দিনে দেখি নাই। আর এমন পরিবেশ হবে আমরা কল্পনাও করিনি। দিরাই শাল্লার সুন্দর-সুশৃঙ্খল পরিবেশ ধ্বংস করে দিয়েছে তারা।
গত শনি ও রোববার সকালে বাহাড়া ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রাম সংলগ্ন জোয়ারিয়া বিলের মাছ, গত মঙ্গলবার আটগাঁও ইউনিয়নের কাশীপুর লাইরা দীঘা গ্রুপ ফিশারির সত্তুয়া নদীর মাছ, কাশীপুর গ্রামের নিকট বেল্লা বিল ও ইয়ারাবাদ গ্রামের নিকট বড়গাঁও-ইয়ারাবাদ গ্রুপ জলমহালের ভাটিগাং বিলের মাছ দুর্বৃত্তরা লুটকরে নেওয়ার সংবাদ ও পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম গনমাধ্যমকে বলেন, আমরা সতর্কতায় আছি, সত্তুয়া বিল এখন ফাঁকা আছে, যতদিন পর্যন্ত এটা একেবারে নিরিবিচ্ছিন্ন না থাকবে, ততদিন পর্যন্ত এখানে পুলিশ পাহারায় থাকবে।
শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়াস চন্দ্র দাস বলেন, থানা পুলিশের সহযোগিতায় আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
যাযাদি/ এসএম