জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ তাড়িয়েছি আবার মুসিবত আনার জন্য নয়। কোনো রাজনৈতিক দল মুসিবত হয়ে আসার চেষ্টা করছে। আমারা যেভাবে ফ্যাসিবাদ তাড়িয়েছি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের যেমন অবস্থান ছিল, তেমনি যারা নতুন করে ফ্যাসিবাদ হয়ে উঠার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধেও আমাদের একই অবস্থান থাকবে।’
শনিবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় গণমাধ্যমকর্মীদের সম্মানে আয়োজিত হোটেল ডায়নায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, কোটা আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরবর্তীতে এক দফা আন্দোলন এবং আজকে ফ্যাসিবাদত্তোর বাংলাদেশে গণমাধ্যমের বস্তুনিষ্ঠতা, নিরপেক্ষতা, নিরলস পেশাদারির মধ্যে দিয়ে সমাজের বাস্তব চিত্রগুলো উঠে আসছে। আমি প্রত্যাশা করব, গণমাধ্যমে এই বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার চর্চা অব্যাহত থাকবে। আওয়ামী লীগের আমলে যেভাবে নিয়ন্ত্রিত সাংবাদিকতা দেখেছি আমি বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক প্রভাবের বাহিরে গিয়ে প্রকাশের যে স্বাধীনতা পেয়েছে তা এই সময়ে এসে ইতিহাসে উদাহরণ হয়ে থাকবে।’
তিনি আরো বলেন, আমরা যে গণতান্ত্রিক উত্তরণের দিকে যাচ্ছি, সে ক্ষেত্রে আপনারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে ভূমিকা রাখবেন। কোনো ধরনের পেশিশক্তি, কোনো ধরনের রাজনৈতিক শক্তির কাছে মাথা নত করবেন না। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের মাধ্যমেই জনগণ রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর মতামত গড়ে ওঠে। নাগরিক পার্টি যে বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছাতে চায় আপনারা অখণ্ডিত ও বস্তুনিষ্ঠতার মধ্যে দিয়ে তা সঠিকভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দেবেন, এটি গণমাধ্যমের কমীরা।
৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্পর্কে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নাগরিক পার্টি আত্মপ্রকাশ করেছে। এরপর আমাদের প্রাথমিক কাজ হচ্ছে দলের নিবন্ধন করা, এরপর দলের সাংগঠনিক বিস্তারের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা প্রথমত মনোযোগ দিচ্ছি সাংগঠনিক বিস্তারের দিকে। যেটির মধ্য দিয়ে আমরা নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারব। আমরা গণতান্তিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করছি, ইলেকট্রোরাল প্রসেসের মাধ্যমে আমাদের এগোতে হবে।
যাযাদি/ এসএম