বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

যন্ত্র-জনবলের অভাবে অব্যবহৃত অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন

মো. আবু হেনা, আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ)
  ১৮ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৭
যন্ত্র-জনবলের অভাবে অব্যবহৃত অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন
ছবি: যায়যায়দিন

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবল সংকটের ফলে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিন ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ফলে হাওরাঞ্চলে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-আয়ের লোকজন সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘ দুই যুগ পর গত বছরের মার্চে এ হাসপাতালে ৩০০ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন দেয় কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএনএসডি)। এর পরই মেশিনটিতে ত্রুটি দেখা দেয়। এটি পরিচালনার জন্যও কোন জনবল নেই হাসপাতালে।একাধিকবার ত্রুটি সরানোর জন্য অনেক টাকা ব্যয় করানো হয়েছে, কিন্তু ঠিক হয়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুরাতন ভবনের ১১২ নম্বর কক্ষে পুরাতন মেশিনের পাশেই অত্যাধুনিক নতুন এক্স-রে মেশিনটি রাখা। এককোণে রয়েছে পুরাতন মেশিনের কিছু অংশ। তবে প্রিন্টার, ডিজিটাল এক্স-রে ক্যাসেট, কম্পিউটার-সফটওয়্যার ও টেবিল না থাকায় এক রোগীকে মেঝেতে রেখে এক্স রে করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু ফিল্মে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। পরে ওই ব্যক্তি প্রায় এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আজমিরীগঞ্জ বাজারে গিয়ে টাকার বিনিময়ে এক্স-রে করিয়েছেন। একইভাবে আরও অনেক রোগী দুর্ভোগে পরছেন।

হাসপাতালে আসা অপর এক ব্যক্তি জানান, সম্প্রতি তিনি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকের পরামর্শে এক্স-রে করাতে গিয়ে দেখেন টেবিল নেই। দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন তাঁকে মেঝেতে শুইয়ে রেখে এক্স-রে করেন কিন্তু ফিলো কিছুই দেখা যাচ্ছে না। পরে তিনি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে টাকার বিনিময়ে এক্স-রে করান ।

অস্থায়ীভিত্তিতে কর্মরত গোপাল চন্দ্র জানান, তিনি ব্র্যাকের হয়ে এখানে কাজ করছেন। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু প্রিন্টার, ডিজিটাল এক্স-রে ক্যাসেট, কম্পিউটার-সফটওয়্যার ও টেবিল না থাকায় সেবা দিতে পারছেন না।

ভুক্তভোগী রকি মিয়া, জানু মিয়া ও তামিম মিয়া জানান, তাঁরা একাধিকবার আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে করাতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন। শিগগিরই এ সমস্যা সমাধানের জন্য তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানান।

এ ব্যাপারে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ইকবাল হোসেন খোয়াইকে বলেন, এক্স-রে মেশিনের সফটওয়্যার ত্রুটি দেখা দিয়েছে। আমরা একাধিকবার ত্রুটি সরানোর জন্য ইঞ্জিনিয়ার এনে কাজ করিয়েছি। এছাড়া জনবল সংকটের কথা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে