বরগুনার তালতলীতে ঈদুল ফিতরের নামাজের মাঠে ইমামকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করার চেষ্টায় মাসুম (১৯) এক যুবক স্থানীয় মুসল্লিরা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
জানা যায়,উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামের সিকদার বাড়ি মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এসমস্ত মাসুম নামের এক যুবক দেশিয় অস্ত্র চাপাতি নিয়ে ইমামের দিকে ছুটে যায়। এসময় স্থানীয় মুসল্লিরা মাসুমকে আটক করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অস্ত্রসহ আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
সিকদার বাড়ি মসজিদের ইমাম ইমরান হোসেন জানিয়েছেন, কেওড়া বুনিয়া মাদ্রাসায় পরকালীন সময়ে মাসুম তার মোবাইল চুরি করেন। এই ঘটনা তিনি তাকে অপমান করায় তার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে এই কাজ করেছেন ।
ইমামের উপর হামলাকারী মাসুম জানিয়েছেন, আমার বন্ধু একই গ্রামের ইব্রাহিম এর পুত্র ইমরান। সে এর আগে একটি মসজিদে ইমামতি করতেন।গতবছর কোরবানি ঈদের সময় কুয়াকাটার একটা আবাসিক হোটেলে প্রেমিকাকে নিয়ে যাই। এরপর টাকা আনার জন্য তার কাছে প্রেমিকাকে রেখে আসি । এই সুযোগে ইমরান আমার প্রেমিকাকে বেজ্জতি করেন।তবে এঘটনা প্রেমিকা না বললেও আমি সেটা জানতে পারি। পরে আমার ঘটনাটি জানাজানি হলে আমি এলাকা ছেড়ে চলে যাই। ঢাকা গিয়ে প্রতিশোধের নেশা অপেক্ষায় থাকি। পরে এক হাজার টাকা দিয়ে এই চাপাতিটি তৈরি করে কুরিয়ারে করে তালতলী নিয়ে আসি। পরে ইমরানের সন্ধান পেয়ে ঈদের দিনই তার ওপর আক্রমণ করার চিন্তা করি। এরপর স্থানীয় লোকজন দেখে আমাকে গণধোলাই দেয়।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো.শাহজালাল বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাসুমকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যাযাদি/ এমএস