নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় বিএনপি’র দুই গ্রুপ একই স্থানে সমাবেশ ডাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯ টা হতে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত জলঢাকা উপজেলা শহরে এ কার্যবিধি বলবত থাকবে।
জলঢাকা থানার অফিসার (ইনচার্জ) সাজ্জাদ হোসেনের আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জায়িদ ইমরুল মোজাক্কির আইন শৃংখলা রক্ষার্থে ১৪৪ ধারা জারি করে।
জানা যায়, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে জলঢাকা জাতীয়তাবাদী শক্তির ব্যানারে জলঢাকা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে ঈদের দিনসহ ৫ দিনব্যাপী জলঢাকা সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একটি মেলার আয়োজন করে। জলঢাকা বিএনপি'র বর্তমান সেক্রেটারী মইনুল ইসলাম এই বিষয়টা জানেন না।
এ নিয়ে তিনি জেলা কমিটির কাছে জানতে চায় তাদেরকে কিভাবে অনুমতি দেয়া হল। জেলা কমিটি থেকে তাদেরকে জানানো হয় সবাই মিলে এই আয়োজন করছে বলে তাদেরকে জানানো হয়েছে।
এরই জেরে ঈদের আগের দিন রবিবার আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে জলঢাকা উপজেলা শহরে মেলা উদযাপন কমিটির ব্যানারে একটি র্যালী বের করা হয়। মিছিলের পরই মইনুল ইসলাম এই আয়োজনের উদ্যোক্তা কারা এখানকার বিএনপিকে না জানিয়ে কারা এ আয়োজন করেছে এমন অভিযোগ তুলে মেলার গেট ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর পরেও ঈদের দিন গতকাল রাতে উভয় পক্ষই মেলাকে কেন্দ্র করে মাইকিং বের করে সকাল ১০ টায় বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেয়।
তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজ সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত জলঢাকা পৌর এলাকার থানা মোড় এবং পেট্রোল পাম্প এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেন।
এ ব্যাপারে জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জায়িদ ইমরুল মোজাক্কির জানান, জলঢাকা পৌরসভার আওতাধীন জলঢাকা পেট্রোল পাম্প ও জলঢাকা সরকারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ এলাকায় একাধিক পক্ষ হতে একাধিক স্থানে এবং ভিন্ন ভিন্ন সময়ে সভা-সমাবেশ আহবান করেছে এবং উক্ত সমাবেশ ঘিরে বর্ণিত এলাকায় চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এর ফলে আইন শৃক্সখলার মারাত্মক অবনতিসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে মর্মে অফিসার (ইনচার্জ) এর আবেদনের প্রেক্ষিতে সার্বিক আইন-শৃক্সখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে আমার উপর অর্পিত ক্ষমতাবলে বর্ণিত এলাকায় মঙ্গলবার ( ১ এপ্রিল) সকাল ৯:০০ ঘটিকা হতে সন্ধ্যা ৬:০০ ঘটিকা পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে কোন পক্ষই মোবাইল রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
যাযাদি/ এমএস