দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে তহুরা পারভিন (৩২) নামে এক গৃহবধুর মরাদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে ওই গৃহবধুর মরাদেহ উদ্ধার করা হয়। তহুরা পারভিন উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের পলিশিবনগর গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানায়, ১২ বছর পুর্বে উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের পলিশিবনগর গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেনের সাথে বেতদিঘী ইউনিয়নের নন্দিগ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের মেয়ে তহুরা বেগমের বিয়ে হয়।
বিয়ের তিন বছরের মাথায় তাদের একটি ছেলে সন্তান রেখে তার স্বামী আনোয়ার হোসেনের মৃত্যু হয় । এরপর থেকে সন্তান এবং বৃদ্ধা শাশুড়ীকে নিয়ে শশুর বাড়ীতে বসবাস করছিলেন তহুরা বেগম।
এদিকে দির্ঘদিন ধরে বাড়ীর সিমানা প্রচির এর জায়গা নির্ধারণ নিয়ে তার ভাসুরের সাথে পারিবারিক দন্দ্ব চলছিল । এ নিয়ে আদালতে মামলাও হয়। এরই মধ্যে সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে তহুরা পারভিনের ভাসুর মনতাজের স্ত্রী নুরজাহানের সাথে তার ঝগড়া হয়। পরে জহরের নামাজ শেষে ছেলে বাড়ী ফিরে দেখেন মা তহুরা বেগম বাড়ীতে ছটফট করছেন। তা দেখে চিৎকার করলে আরেক ভাসুর এনতাজ আলীসহ প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করনে। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে মরাদেহ উদ্ধার করে।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম খন্দকার মুহিব্বুল বলেন, খবর পেয়ে মরাদেহ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। মৃত্যুর কারন এখোনো জানা যায়নি। এ ঘটনায় থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
যাযাদি/ এম