নরসিংদীর রায়পুরায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ২ ছাত্রীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার চরআড়ালিয়া ইউনিয়নের বাঘাইকান্দি গ্রামের কাজী বাড়ির মোড়ে ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ধর্ষক ইমরান, রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, সাইফুল মিয়া, রমজান, কাইয়ুম ও তার দুই সহযোগী এলাকার চিহ্নিত অপরাধী। তারা বিভিন্ন অসামাজিক কাজ সহ মাদক কারবারের সাথে জড়িত। তাদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। এতদিন তাদের ধারা অত্যাচারের পরও ভয়ে কেউ মুখ খোলেনি। কিন্তু ৬ষ্ঠ শ্রেণীর দুই ছাত্রী গণধর্ষনের এমন ঘৃণ্য কাজে এলাকাবাসীর ভয় কেটে গেছে। তারা গণধর্ষনের এই অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছে। অনতিবিলম্বে ধর্ষণের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে তাদের ফাঁসি দেওয়া হোক। তা না হলে জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে।
আল্টিমেটাম দিয়ে বক্তারা বলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ধর্ষণকারীদের আইনের আওয়তায় আনা না হলে নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।
এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, চরআড়ালিয়া ইউনিয়নের সমাজ সেবক আতাউর রহমান মিঠু, চরআড়ালিয়া ইউনিয়ন বিএনপি'র সাবেক সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম জাজু, ইউনিয়ন বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক মো: ইউনুস আলী মেম্বার, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান সরকার, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নূর আলম কাজী, পূর্ব বাঘাইকান্দি এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু মুসা, বিদ্যালয়ের সভাপতি হাবিবুর রহমান, জেলা ছাত্র নেতা সাব্বির ভূইয়াসহ এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেলে বাঘাইকান্দী এলাকার কাইয়ুম (২১) ও মুন্না (২২) এর সাথে নৌকা যোগে ঘুরতে যায় দুই ছাত্রী। নৌকা দিয়ে ঘুড়া-ঘুড়ি শেষে বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা হলে কৌশলে কাইয়ুম ও মুন্না নৌকা তীরে ভিড়ায় এবং তাদেরকে পূর্ব বাঘাইকান্দি এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে কাইয়ুম ও মুন্না তাদের আরো ছয় বন্ধুকে ডেকে এনে সকলে মিলে ভয়ভীতি দেখিয়ে দুই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে তারা নিজ বাড়ি ফিরে গেলে তাদের অবস্থা দেখে পরিবারের সদস্যরা ঘটনা জানতে চাইলে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ পায়। এঘটনায় ভুক্তভোগীদের পরিবার রায়পুরা থানায় ৮ জনের নামে মামলা দায়ের করে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত) কোনো আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ আদিল মাহমুদ জানান, ধর্ষণ মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছেন। আশা করা যাচ্ছে শীঘ্রই আসামী ধরা পড়বে।
যাযাদি/ এসএম