ধর্ম বর্ননির্বিশে সকলে মিলে এক নতুন বাংলাদেশে বিনির্মাণে, পরিছন্ন রাজনৈতিক অঙ্গন তৈরী করতে তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আইন উপদেষ্ঠা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার এ কে এম কামরুজ্জামান জামান।
তারেক রহমানের আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান বলেন দির্ঘ সময় পর ফেসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর নেতা-কর্মিদের মধ্যে নেতৃত্বের দন্দ বিবাদ সৃষ্টি হয়েছে, অপরদিকে কতিপয় অসাধু ব্যাক্তি দলের নাম ব্যবহার করে নিজস্বার্থ চরিতার্থ করে সাধারন মানুষের মাছে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করেছে, এ কারনে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি ঘরে ঘরে পৌছিয়ে দেয়ার জন্য ক্যাম্পেইন করছেন।
এদিকে ব্যারিস্টার কামরুজ্জামানের আগমনে উজ্জিবিত হয়ে উঠেছে নেতৃত্বের দন্দে বিভক্ত হয়ে পড়া ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর উপজেলাসহ দিনাজপুর জেলা বিএনপি। ব্যারিস্টার কামমরুজ্জামানের সাথে ৩১ দফা কর্মসূচির গণসংযোগে উভায় পক্ষের মুলধারা নেতা-কর্মিরা একই সাথে অংশগ্রহন করায়, আশার প্রদিপ হিসেবে দেখছেন গ্রাম অঞ্চলের তৃন্যমুলের নেতা-কর্মি ও সমর্থকগণ।
ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান দিনাজপুর-৫ আসনের ফুলবাড়ী ও পার্বতীপুর এলাকায় গণসংযোগ করলেও এর প্রভাব পড়েছে দিনাজপুর জেলাসহ অনান্য উপজেলা গুলোতেও।
তৃন্যমুলের কর্মি সমর্থকগণ বলছেন দির্ঘ সময় আওয়ামী ফেসিস্ট সরকারের অপকর্ম ও সেচ্ছাচারিতার কারনে বিএনপির প্রতি সাধারন মানুষের যে আস্থা তৈরী হয়েছিল, গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর, বিএনপির কতিপয় নেতা-কর্মিদের জন্য দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছিল, এতে সাধারন কর্মি সমর্থকগণ হতাশ হয়ে পড়েছিল, সেই সময় একজন পরিছন্ন ইমেজের মেধাবী রাজনৈতিক নেতা ব্যারিষ্টার কামরুজ্জামানের আগমনে হারানো ইমেজ ফিরে আসচ্ছে, এখন ব্যারিষ্টার কামরুজ্জামানের মাধ্যমে নতুন করে আশার আলো দেখছেন তারা।ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম বলেন গত ৫ আগষ্টের পর কতিপয় মানুষের জন্য দলের ভাবমুর্তি বিনষ্ট হয়েছিল, এ ছাড়া দলের কতিপয় ব্যাক্তি বিভাজন সৃষ্টি করায় কোনঠাসা হয়ে পড়েছিল দলের মুলধারা নেতাকর্মিরা, এ কারনে তিনি ৫ আগষ্টের পর দলিয় কর্মকান্ড থেকে বিরত ছিলেন, কিন্তু ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান ফুলবাড়ীতে আসার পর থেকে তিনি দলিয় কর্মসূচিতে নিয়োমিত হয়েছেন, একই ভাবে ফুলবাড়ী সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হারুন উর রশিদ বলেন ব্যারিষ্টার কামরুজ্জামানের মতো পরিছন্ন রাজনৈতিক নেতারা দলের নেতৃত্ব দিলে সমাজের ভদ্র শিক্ষিত সমাজসেবক শ্রেনীর মানুষ রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠবে। একই কথা বলেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল হাসান মোল্লা, সাজ্জাদ হোসেন সাজু, গোলাম কিবরিয়া, আব্দুল লতিফ বাবু, সাহেন শাহ আলম মিঠুসহ একাধিক সাবেক ছাত্রনেতারা।
এদিকে ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক জাকিউর রহমান চঞ্চল বলেন ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে উপজেলা বিএনপির প্রাণপুরুষ ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম মতি এর সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে রাখে বিএনপির মুলধারার রাজনীতিকে থামিয়ে দেয়া হয়েছিল, সেই অবস্থার অবসান হয়েছে ব্যারিষ্টার কামরুজ্জামানের আগমনে, সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন ব্যারিষ্টার কামরুজ্জামান ও অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম মতি এই দুই পরিছন্ন ইমেজের নেতা একসাথে মাঠে নামায় সাধারন কর্মি সমর্থকদের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাহাবুব আলম মিলন বলেন, ১৯৮৯ সালের পর থেকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম মতির নেতৃত্বে উপজেলা বিএনপি তিল তিল করে যে জনপ্রিয়তা তৈরী করেছিল, তা কয়েকজন সুবিদাবাদিরা ধ্বংশের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছিল, এ সময় ব্যারিস্টার কামরুজ্জামানের আগমনে তা ফিরে আসচ্ছে, ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান ও অধ্যক্ষ খুরশিদ মতি এক সাথে গণসংযোগে নামায় প্রাণফিরে পেয়েছে কর্মি সমর্থকরা।
ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সাবেক ভিপি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নজমুল হক নাজিম বলেন, বর্তমান মানুষ পরিছন্ন শিক্ষিত মেধাবী তরুন সেলিব্রেশন নেতাকে চায়, যা সবেই আছে ব্যারিস্টার কামরুজ্জামানের মধ্যে, এছাড়া ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দসহ ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির জনপ্রিয় নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম মতি ও পার্বতীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম সহ দলের পরিছন্ন জনপ্রিয় নেতা-কর্মিদের নিয় ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান মাঠে নেমেছে, এ কারণে জনস্রোত শুরু হয়েছে।
এদিকে দিনাজপুর জেলা বিএনপির সাবেক নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক বকতিয়র আহম্মেদ কচি বলেন, ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহচর, সাধারণ নেতাকর্মিরা ব্যারিষ্টার কামরুজ্জানের কণ্ঠে তারেক রহমানের প্রতিধ্বনি শুনতে পায়।
দিনাজপুর জেলা বিএনপির এই নেতা বলেন, দিনাজপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও দিনাজপুর জেলার উন্নয়নের একমাত্র রূপকার বেগম খুরশিদ জাহান হক এর মৃত্যুর পর, দিনাজপুরের উন্নায়নের প্রদিপ নিভে গিয়েছিল, তিনি আশা প্রকাশ করেন ব্যারিস্টার কামরুজ্জানের হাতধরে সেই উন্নায়নের প্রদিপ আবারো জ্বলে উঠবে।
ব্যারিষ্টার কামরুজ্জামান বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে কে প্রার্থী হবে সেটি বড় বিষয় নয়, কিন্তু আগামীর জন্য নেতা-কর্মিদের একত্রিত্ব শক্তিশালী করতে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ ধারা সংস্কার কর্মসূচি সাধারন জনগণের ঘরে ঘরে পৌছিয়ে দিতে তিনি ৩১ দফা কর্মসূচির গণসংযোগ করছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বসবাসরত সকল ধর্ম বর্নের মানুষকে এক ছাতার মধ্যে নিয়ে এসে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতিগঠনের জন্য স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ গঠন করে। আগামীতেও সকল ধর্মের বর্নের মানুষকে সাথে নিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বিএনপি রাষ্ট পরিচালনার দায়িত্ব পেলে সকল মানুষকে সাথে নিয়ে দেশ গঠন করবে। এ জন্য তিনি সকলে এগিয়ে এসে বিএনপির হাতকে শক্তিশালি করার আহবান জানান।
যাযাদি/ এসএম