সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

চট্টগ্রামে বর্ণিল আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ২০:২৬
চট্টগ্রামে বর্ণিল আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ
যায়যায়দিন

চিরায়ত গান, কবিতা, নৃত্য, শোভাযাত্রাসহ লোকজ নানা অনুষঙ্গে, আনন্দ-উচ্ছ্বাসে চট্টগ্রামে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করা হয়। প্রখর রোদ উপেক্ষা করে নগরীর বর্ষবরণের বিভিন্ন আয়োজনে যোগ দিয়েছিল সর্বস্তরের হাজার, হাজার মানুষ। বাঙালির প্রাণের উৎসবে জেগেছিল বন্দরনগরী।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকেই নগরের সিআরবি শিরিষ তলা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট ও জেলা শিল্পকলা একাডেমিতসহ বিভিন্ন স্থানে বর্ষবরণের নানা আয়োজন ছিল। সকালে নগরের বাদশা মিয়া সড়কের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে বের হয় ঐতিহ্যের শোভাযাত্রা। এটি চট্টেশ্বরী মোড় হয়ে আলমাস, কাজীর দেউড়ি মোড়, এস এস খালেদ রোড, প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে ইউটার্ন হয়ে সার্সন রোড দিয়ে পুনরায় চারুকলা ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় তরমুজের ফালি, বাঘ, ইলিশ, শান্তির পায়রা ও লক্ষ্মী পেঁচাসহ বিভিন্ন মোটিফ নিয়ে চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

সকালে অপর্ণাচরণ সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে আয়োজিত নববর্ষ বরণের আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এতে অংশ নেন সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। শোভাযাত্রাটি চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

শোভাযাত্রায় উপস্থিত সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে মেয়র বলেন, সবাই মিলে একটি ক্লিন, গ্রিন ও হেলদি চট্টগ্রাম গড়তে হবে। এজন্য নগরবাসীর সচেতনতা ও সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি। চট্টগ্রাম শুধু একটি শহর নয়, এটি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বাসযোগ্য একটি স্বপ্নের নগরী-যা গড়তে হলে প্রত্যেকেরই দায়িত্ব নিতে হবে।

সিআরবির শিরীষতলায় সকাল সাড়ে ৭টা থেকে নববর্ষ উদ্‌যাপন পরিষদের উদ্যোগে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। ভায়োলিনিস্ট চিটাগংয়ের সমবেত বেহালা বাদনের মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছরকে বরণের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করে। এছাড়া নগরের নন্দনকাননে একটি সংগঠনের আয়োজনে চলে ছোটোদের বৈশাখী মেলা।

এদিকে, এবার হয়নি সাতরাস্তার মোড়ের সেই বলীখেলাও। বিকল্প হিসেবে আয়োজন করা হয়েছে জাতীয় খেলা হা-ডু-ডু। তবে এটি টানতে পারেনি দর্শনার্থী। সবমিলিয়ে আয়োজনগুলোতে আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরাই যেন দর্শক।

আগের দিন রোববার সন্ধ্যায় নগরের বর্ষবরণ-বর্ষবিদায়ের সবচেয়ে বড় আয়োজনস্থল নগরীর ডিসি হিলের নজরুল স্কয়ারে মঞ্চে ভাঙচুর, হামলার আয়োজন বাতিল করা হয়। ডিসি হিলে গত ৪৬ বছর ধরে আরেকটি বড় আয়োজন হয়ে আসছিল। এদিকে বর্ষবরণের আয়োজন ঘিরে নগরজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ।

যাযাদি/ এমএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে