জুরাছড়ি উপজেলার সুভলং শাখা বনবিহারে ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে বিজু ও ১লা বৈশাখের উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সকালে বর্ষবরণ ও আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। পরে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভায় বনযোগীছড়া জোন অধিনায়ক, থানা অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন শাহ, জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইমন চাকমা, রির্সোস সেন্টারের ইন্সেট্রাক্টর মোঃ মরশেদুল আলমসহ সরকারি কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ সফল আয়োজনের পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জুরাছড়ি জোন অধিনায়ক এবং যক্ষা বাজার আর্মি ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাসদস্যরা। যারা সময়োচিত সিদ্ধান্ত, সুশৃঙ্খল সমন্বয় এবং জনবান্ধব নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ জনসাধারণের আস্থা অর্জন করেছেন।
উৎসব পূর্ববর্তী সময়েও কিছু সংগঠন ও মহল এ আয়োজন বন্ধে হুমকি ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করলেও সেনাবাহিনী ও পুলিশের সুপরিকল্পিত নিরাপত্তা ও তৎপরতায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
সেনাবাহিনী ও পুলিশের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানটি শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন হয়।
বিজু ও ১লা বৈশাখের উৎসবে অংশগ্রহণকারী পূর্ণার্থীদের মাঝে ছিলো উৎসাহ, উচ্ছ্বাস ও গভীর তৃপ্তি। তাঁরা বলেন, এমন সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে ধর্মীয় উৎসব উদযাপন তাদের জন্য এক গভীর প্রশান্তির অনুভব।স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বলেন, সেনাবাহিনীর মানবিক ও পেশাদার ভূমিকা শুধু নিরাপত্তা নয়, বরং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিশেষ করে জুরাছড়ি জোন অধিনায়ক এবং যক্ষা বাজার আর্মি ক্যাম্পের সমন্বিত প্রচেষ্টা, ও পুলিশের আন্তরিক সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হয়েছে, তা সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
এবারের বিজু ও ১লা বৈশাখ শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি একটি শান্তি ও ঐক্যের বার্তা বহন করে। সেনাবাহিনীর প্রজ্ঞাবান নেতৃত্ব, মাঠপর্যায়ের নিষ্ঠাবান সদস্যদের ভূমিকা এবং পুলিশের সহযোগিতা প্রমাণ করে যে, সঠিক উদ্যোগ নিলে যেকোনো চ্যালেঞ্জ শান্তিপূর্ণভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
যাযাদি/ এমএস