সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় ২২ মাস আগে মিয়ানমারে আটক ২০ কিশোর দেশে ফেরার পর তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের হস্তান্তর করা হয়।
তারা হলেন-জুবায়েদ হোসেন জুয়েল, সরওয়ার কামাল, তারেক মনোওয়ার, নাজিম উদ্দীন, নূর মোহাম্মদ, মো. নজরুল ইসলাম, মো. ফাহিম, মো. আব্দুল্লাহ, মনসুর আলম, মো. হাশেম, মো. মোবারক, রফিকুল ইসলাম, আজিজুর রহমান, রবিউল আলম, মো. হেলাল, রফিকুল ইসলাম, মো. ফয়সাল, মো. খোকন, মো. সাজ্জাদ ও মো. আসাদ।
তারা সবাই কক্সবাজার জেলার টেকনাফ ও উখিয়ার বাসিন্দা।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে নৌবাহিনীর জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছান ২০জন। তাদের মধ্যে কারও বয়স ১৫, কারও ১৭।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সামনে বাস থেকে একে একে নামেন তারা।
ছেলে বা ভাইকে ২২ মাস পর কাছে পেয়ে দৌড়ে যান স্বজনেরা। এ সময় কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটকের পর তাদের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব যাচাই করে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে সরকার। এরপর বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে।
রহমান নামে একজন বলেন, ‘পরিবারকে না জানিয়েই আমার শ্যালক মালয়েশিয়া যেতে চেয়েছিল।
সে মিয়ানমারে আটক হয়। প্রায় এক মাস পর আমরা জানতে পারি। এখন সে পরিবারের কাছে ফিরে এসেছে।’
এর আগে গত রোববার (১৩ এপ্রিল) মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরের এমআইটিটি বন্দর থেকে এই ২০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে নিয়ে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর জাহাজ বিএনএস সমুদ্র অভিযান বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কামরুজ্জামান বলেন, মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা ২০ বাংলাদেশি নাগরিককে তাদের অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করেছি।
যারা এসব প্রতারণার সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ এবং এজেন্সি যাচাই-বাছাই করার আহ্বান জানান তিনি।
যাযাদি/এস