সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পরিক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের দাবিতে, মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও উজ্জ্বল রায় এর বরাবর এলাকাবাসীর একাংশের পক্ষে লিখিত আবেদন করেছেন,চামরদানী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওয়াসিল আহমেদ। ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার জ্ঞাতার্থে অনুলিপি প্রেরণ সহ আবেদনটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও উজ্জ্বল রায় এর বরাবর দায়ের করা হয়েছে। আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মধ্যনগর উপজেলায় ৩ টি দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে, এরমধ্যে বলরামপুর দাখিল মাদ্রাসা,নোয়াগাঁও দাখিল মাদ্রাসা,মহিষখলা দাখিল মাদ্রাসা ।
এই ৩ টি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২ হাজারেও উপরে ছাত্র ছাত্রী অধ্যায়নরত আছে, প্রতিষ্ঠান গুলো স্থাপনের পরথেকে আশেপাশে পরিক্ষা কেন্দ্র না থাকায় দাখিল পরিক্ষা দিতে শিক্ষার্থীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পরীক্ষার্থীরা প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে পাশ্ববর্তী ধর্মপাশা উপজেলার খয়েরদিরচর মাদ্রাসা কেন্দ্রে গিয়ে দাখিল পরিক্ষা দিতে হয়।
এতে সড়ক পথের কোন ভালো যানবাহনের যোগাযোগ নাই, দূরবর্তী দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যোগ যোগ ধরে হিমসিম খেতে হচ্ছে। পরিক্ষার সময় দেখা গেছে, ধর্মপশা উপজেলা এবং পাশ্ববর্তী জেলা নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায় হোটেলে থেকে পরিক্ষা দিতে হয় । এইসব দূরবর্তী দরিদ্র ছাত্র ছাত্রীর আর্তিক অর্থদন্ড সহ দুর্বিষহ দুর্ভোগ লাগব করতে, মধ্যনগর উপজেলার তীরবর্তী বলরামপুর দাখিল মাদ্রাসায় পরিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করার জন্য এলাকাবাসীর দাবি তুলেছেন।
বলরামপুর মাদ্রাসায় কেন্দ্র স্থাপন হলে, ছাত্র ছাত্রীর থাকা খাওয়া এবং যাতায়াতের সুবিধা হবে বলে সচেতন মহলের মন্তব্য করছেন। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সীমাহীন দুঃখের বিষয়টি সরকারের কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছেন এলাকার সুধীজন ।
এবিষয়ে মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও উজ্জ্বল রায় বলেন, বলরামপুর দাখিল মাদ্রাসায় কেন্দ্র স্থাপনের একটি লিখিত আবেদন পেয়েছি, তো কেন্দ্রটি এলাকার মাঝখানে স্থাপনের দাবি জানাচ্ছেন, সীমান্ত এলাকার মহিষখলাবাসী।