বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিত : একেএম কামরুজ্জামান  

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১০
নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিত : একেএম কামরুজ্জামান   
ছবি: যায়যায়দিন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যক্তিগত আইন বিষয়ক উপদেষ্টা ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার একেএম কামরুজ্জামান বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিত। রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণ, তাদের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে। না হলে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব। জনগণই সিদ্ধান্ত নিবে কে হবেন শাসক। বিএনপি বিশ্বাস করে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলায় এই সরকারকে কঠোরভাবে হস্তক্ষেপ করা উচিত। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে, আমি এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনুরোধ করবো, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত করার।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মিশন বাজার এলাকায় ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ ও পথসভায় সাংবাদিকদের উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

এ সময় তিনি ওই বাজারের বিভিন্ন মানুষের কুশল বিনিময় করেন ও বিএনপির ৩১ দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম মতি, পার্বতীপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলামসহ উপজেলা বিএনপিসহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, পতিত সরকারের আমলে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার থেকে সংসদ সদস্য পর্যন্ত ভোটাধিকার নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। পতিত সরকারের পতন হলে কিভাবে বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করা যায় সেটি তারেক রহমান বলেছিল। ৩১ দফার মাধ্যমে সেটি করা হবে।

আমরা ৩১ দফা জনগণের দোরগড়ায় পৌছাচ্ছি। কেন বিএনপির পতাকা তলে আসতে হবে, বিগত পতিত সরকারের আমলে বিভিন্ন প্রপাকান্ডা হয়েছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে। বিচারিক, নির্বাহীসহ সকল ডিপার্টমেন্টগুলো ফাংসানিং না। রাষ্ট্রকে ফাংসানিং করার জন্য কি কি করা দরকার। সংবিধানকে বিভিন্নভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে, একপাক্ষিক করা হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রীর নামে বাংলাদেশকে একনায়কতন্ত্র করা হয়েছিল। এজন্য ৩১ দফার প্রথমেই বলা হয়েছে একটা সংবিধানিক কমিশন গঠন করা হবে, দ্বিতীয়তে বলা হয়েছে মতপথের উর্ধ্বে থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিভক্ত সমাজকে একত্রিত করার চেষ্টা করা হবে এবং সকলে আইনের আওতায় থাকতে হবে, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। পতিত সরকারের আমলে একটি গোষ্ঠী আইনের উর্ধ্বে ছিল। আর যারা তাদের মতের বাইরে ছিল তারা বাংলাদেশের দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেনীর লোক ছিল। সবার জন্য স্বাস্থ্যের কথা বলা হয়েছে, যুব উন্নয়ন, কৃষরা কিভাবে ন্যায্যমূল পাবে, বৃক্ষরোপন, খালখনন সব কিছু, বাংলাদেশ কিভাবে একটি রেইনবো সোসাইটি করা যায় সেটার পদক্ষেপ ৩১ দফা। ৩১ দফা আমাদের ঘরে ঘরে পৌছাতে হবে।

আইন-শৃঙ্খলার ব্যাপারে তিনি বলেন, যেহেতু বিএনপি ক্ষমতায় নাই এটি এই সরকারের আওতায় পড়ে। একটা অভ্যুত্থানের পরে কিছু একটা সমস্যা হয়। সেই হিসেবে আমি বলবো অবশ্যই আইন শৃঙ্খলায় এই সরকারকে কঠোরভাবে হস্তক্ষেপ করা উচিত। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে, আমি এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনুরোধ করবো, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত করার। যেহেতু আমরা ক্ষমতায় নাই, এই বিষয়ে আমি কোন কথা বলতে যাবো না।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে