শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২

আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও পুলিশ নীরব, থানায় জিডি

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
  ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:৫৩
আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও পুলিশ নীরব, থানায় জিডি
ফাইল ছবি

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদসহ সাঁথিয়া ও বেড়ার ১৬৪ জন আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পাবনার বেড়া মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ১২ এপ্রিল একটি মামলা হয়েছে। সাঁথিয়া উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের সেলিম হোসেন মানিক বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলার বাদীকে হুমকি দিচ্ছে আসামিরা। সাঁথিয়া থানায় জিডি করছেন এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাদী। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও পুলিশ নীরব।

মামলার বাদী সেলিম হোসেন মানিক বলেন, আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরছে এবং আমাকে ও আমার আত্মীয়-স্বজনকে নিয়মিত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে আসামিরা। আমি সাঁথিয়া থানায় জিডি করেছি। আমি এবং আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। একই মামলায় বেড়া থানার কয়েকজন আসামি গ্রেফতার হয়েছে এবং বেশিরভাগ আসামি পলাতক অথচ সাঁথিয়ার আসামিরা নাশকতা সৃষ্টি করার জন্য বারবার বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যে মিটিং করে যাচ্ছেন। পুলিশকে জানালেও কোনো রকম ব্যবস্থা না নেওয়া আমি হতাশ।

এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, থানায় আসেন কথা বলি।

উল্লেখ্য, ১ এপ্রিল বিকেল পাঁচটার দিকে বেড়া পৌর এলাকার কাগমাইরপাড়ায় আবু সাইয়িদের নিজ বাড়িতে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আবু সাইয়িদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আসামীরাসহ অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ৩০০ আসামি উপস্থিত ছিলেন। ওই সমাবেশে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন এলাকার সদস্য ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা–কমীরা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র করেন। সেখানে প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র, পিস্তল, বন্দুকসহ বিভিন্ন ধরনের দেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের জন্য দেশবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন।

১৬৪ জন আসামির মধ্যে আবু সাইয়িদকে এক নম্বর ও সাঁথিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মিরাজুল ইসলামকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে।সাঁ থিয়া উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের সেলিম হোসেন মানিক বাদী হয়ে পাবনার বেড়া মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ১২ এপ্রিল একটি মামলা দায়ের করেন।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে