দিনাজপুরের খানসামায় কৃষকের বাড়ির উঠানে পলিথিন শিট বিছিয়ে চলছে ব্যতিক্রমধর্মী পাঠদান। ২৫ জন কৃষক-কৃষাণী মনোযোগ দিয়ে অংশ নিচ্ছেন একটি ‘পার্টনার মাঠ স্কুল’-এর ক্লাসে। মৌসুমভিত্তিক এই স্কুলে নির্দিষ্ট ফসলের আধুনিক চাষাবাদ ও ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি শেখানো হচ্ছে হাতে-কলমে। এতে আধুনিক কৃষিতে দক্ষ হচ্ছেন কৃষক-কৃষাণীরা।
জানা যায়, প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এন্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ এন্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) প্রোগ্রামের আওতায় খানসামা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে চলমান এই কার্যক্রমে রবি মৌসুমে ধান, গম, সরিষা, ডাল, নিরাপদ সবজি ও ফল চাষ এবং উত্তম কৃষি চর্চা (GAP)–বিষয়ে মোট ৮টি স্কুলে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এসব মাঠ স্কুলে মোট ১০ টি পাঠে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। শুধু শ্রেণিকক্ষে সীমাবদ্ধ না থেকে মাঠে বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে রোগ ও পোকামাকড়ের সাথে এবং তা দমনে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি। নির্বিচার বালাইনাশক ব্যবহার না করে কীভাবে নিরাপদ ও টেকসই চাষাবাদ সম্ভব, তা দেখানো হচ্ছে প্রতিদিনের এই ক্লাসের মধ্য দিয়ে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আল মুক্তাদির বলেন, পার্টনার প্রকল্পের আওতায় এই মাঠ স্কুলগুলোতে ফসলের আধুনিক জাত নির্বাচন থেকে শুরু করে নিরাপদ উপায়ে অধিক ফলন নিশ্চিত করার কারিগরি জ্ঞান দেওয়া হচ্ছে। যেন কৃষকরা আধুনিক পদ্ধতিতে সম্পর্কে ধারণা লাভ করে ও উৎসাহিত হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, কৃষকদের আত্মবিশ্বাস করে গড়ে তুলতে প্রতিদিন একজন করে কৃষককে দলনেতা করে পাঠদান পরিচালিত হয়। ক্লাসগুলোকে প্রাণবন্ত করতে নাট্যভঙ্গিতে উপস্থাপন, দলীয় কার্যক্রম ও অংশগ্রহণমূলক কৌশল অনুসরণ করা হয়। ফলে তাঁরা নিজেরাই নিয়মিত উৎসাহিত হচ্ছে এই ক্লাসে।
যাযাদি/ এমএস