নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ফেইসবুকের মাধ্যমে সম্পর্কের সুবাদে এক নারীর ডাকে সারা দিতে এসে ব্লাকমেইলিংয়ের শিকার হয়েছেন কলেজ ছাত্র আল আমিন (২২)।
তাকে আটক করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে ব্লাকমেইলিং চক্রের ২ সদস্য।
এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে কলেজ ছাত্র আল আমিনকে। তবে এখনো অধরা ব্লাকমেইলিং চক্রের মূলহোতা মিঠু (৩৮), নিঝুম (২০) ও দিপা মন্ডল।
বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতে ফতুল্লার লালখাঁ এলাকাস্থ পিটিআই ভবনের সামনে একটি টিন বাসা থেকে তাদের আটক করে এবং কলেজ ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত হলো ফতুল্লার লালখাঁ এলাকার সোহরাব মিয়ার ছেলে মোস্তফা (৩৫) ও একই এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে আল আমিন। আর পলাতক রয়েছে জয়নাল ওরফে জনু মিয়ার ছেলে মিঠু একই এলাকার নিঝুম ও দিপা মন্ডল।
এঘটনায় পোস্তগোলা রাজাবাড়ী এলাকার সোহরাব মোল্লার ছেলে কলেজ ছাত্র আল আমিনের বড় ভাই ইসমাঈল মোল্লা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, পোস্তগোলা রাজাবাড়ী এলাকার কলেজ ছাত্র আল আমিনের সঙ্গে নিঝুমের ফেইসবুকে পরিচয় হয় এবং সম্পর্ক তৈরি হয়। সেই সম্পর্কের সুবাদে নিঝুমের ডাকে সারা দিতে ঢাকা হতে ফতুল্লায় আসে।
পরে আল আমিনকে ডেকে এনে নিঝুমসহ অন্য আসামীরা মিলে তাকে ফতুল্লার লালখাঁ পিটিআই ভবনের সামনে একটি টিন বাসায় এনে আটক করে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। পরে আল আমিন বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে ৯৯৯ ফোন দেয়। পরে মুক্তিপণের টাকা দেয়ার কথা বলে পুলিশ ফোন করলে মিঠুর কথামত ২ জনকে পাঠালে পুলিশের জালে আটক হয় ২ সদস্য। কিন্তু মুলহোতা মিঠু, নিঝুম এবং দিপা রয়ে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ব্লাকমেইলিং চক্রের ২ সদস্য আটক করা হয়েছে। মুলহোতা মিঠুসহ বাকীদের আটকের চেষ্টা চলছে।