রাজধানী গাবতলীর পশুর হাটে এবছরের সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর উপস্থিতি যেন এক উট—নামের সাথে রাজকীয়তা জড়িয়ে, নাম “শাহজাহান”। দাম চাওয়া হচ্ছে ৩০ লাখ টাকা! এমন দাম শুনে কেউ বিস্মিত, কেউ মুগ্ধ। তবে একবার দেখলেই বোঝা যায়, উটটি কেন এত আলোচনার কেন্দ্রে।
ধবল বর্ণের বিশালাকৃতির এই উটটির উচ্চতা প্রায় ৮ ফুট, ওজন আনুমানিক এক টন। পাকিস্তানের সিন্ধু অঞ্চল থেকে আনা হয়েছে উটটি। হাটের অন্যান্য পশুর চেয়ে একেবারেই ব্যতিক্রমী হওয়ায় শাহজাহানকে ঘিরে সবসময়ই ভিড় লেগে আছে। দর্শনার্থীরা কেউ ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন।
উটটির মালিক বলেন, "আমরা অনেক যত্ন করে শাহজাহানকে লালন-পালন করেছি। প্রতিদিনের খাবারই প্রায় কয়েক হাজার টাকার। শুধু দাম নয়, এর সৌন্দর্য আর স্বাস্থ্যই একে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলেছে।"
তিনি জানান, উটটি কোরবানির উদ্দেশ্যেই বিক্রি করতে এনেছেন, তবে এর জন্য যোগ্য ক্রেতা প্রয়োজন। "এটা কেবল পশু না, এটা আমাদের পরিবারের এক সদস্যের মতো। তবে যিনি কোরবানির তাৎপর্য বোঝেন এবং এর মর্যাদা দিতে পারবেন, তাকেই দেবো," বলেন কামরুল।
হাটে ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থী বলেন, "এই প্রথম এত কাছ থেকে উট দেখলাম। এত দাম শুনে অবাক হলেও বুঝি, এটি সত্যিই আলাদা কিছু।"
আরেকজন বলেন, "শুধু কোরবানির জন্য নয়, অনেকে হয়তো সৌখিনতার জন্যও কিনে নিতে পারেন। তবে এই দামে বিক্রি হবে কি না, সেটাই দেখার বিষয়।"
৩০ লাখ টাকার দাম ধরা হলেও এই মুহূর্তে "শাহজাহান" যেন গাবতলীর হাটের এক চলমান তারকা। বিক্রি হবে কি না, সেটা সময়ই বলবে। তবে এর উপস্থিতিই প্রমাণ করে, কোরবানির হাটে শুধু পশু কেনাবেচা নয়, মানুষের অনুভূতি, ধর্মীয় দায়িত্ব আর সৌন্দর্যের এক অপূর্ব মিলন ঘটে।