সারাদেশ

দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলায় মুঠোফোন পকেটে নিয়ে পরীক্ষার হলে ঢুকেছিলেন এক পরীক্ষার্থী। প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে কৌশলে সেটির ছবিও তুলেছেন। এরপর সেটি হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপে চালান করে দেন।

মূহুর্তেই সেই গ্রুপে আসতে থাকে প্রশ্নের সমাধান। খাতায় লিখতে থাকে পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা শুরুর দেড় ঘন্টার মাথায় ট্যাগ অফিসারের কাছে মুঠোফোনসহ ধরা পড়েন ওই পরীক্ষার্থী।

রবিবার (৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টায় চিরিরবন্দর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে মাধ্যমিকের উচ্চতর গণিত বিষয়ের পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে। পরীক্ষায় এমন অসদুপায় অবলম্বন করায় ওই শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে। একইসাথে এই ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকায় এক শিক্ষককে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাত দিনের জেল ও দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম আনোয়ার হোসেন। চিরিরবন্দর আমেনা বাকি রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের গণিতের শিক্ষক। আর বহিস্কার হওয়া ওই পরীক্ষার্থী উপজেলার এ জেড রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের শিক্ষার্থী।

চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, পরীক্ষার হলে মুঠোফোন নিয়ে আসার অপরাধে এক পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়। পরে ওই ফোন ঘেটে ৫০জনের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ পাওয়া যায়। যেখানে আজ অনুষ্ঠিত উচ্চতর গণিত বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে পুলিশের সহায়তা নিয়ে উত্তরপত্র সরবরাহকারিকে শনাক্ত করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই শিক্ষক তার অপরাধ স্বীকার করেছেন। ভ্রাম্যমান আদালত কার‌্যক্রম পরিচালনা করে ওই শিক্ষককে সাত দিনের জেলহাজত ও দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস ও উত্তরপত্র সরবরাহ কাজে আরও কেউ জড়িত আছেন কিনা এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করতে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।