মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

শাজাহানপুরে মাদরাসার প্রিন্সিপালকে লাঞ্ছিত

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
  ০৬ মে ২০২৫, ১২:২৯
শাজাহানপুরে মাদরাসার প্রিন্সিপালকে লাঞ্ছিত
ছবি: যায়যায়দিন

বগুড়া শাজাহানপুরে আতাইল ফাযিল স্নাতক মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুল মালেককে লাঞ্ছিত করেছে স্থানীয় জনসাধারণ ও জামায়াতের ইসলামীর নেতাকর্মীরা। উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের উপস্থিতিতে এই তান্ডব চালানো হয়। এরপর পাল্টাপাল্টি মারপিটের ঘটনা ঘটে। মাদরাসার কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সোমবার (৫ মে) প্রিন্সিপালের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে মাদরাসার কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এতে এলাকার অনেক শিক্ষানুরাগী ও সুশীল সমাজের লোকজন কমিটিতে থাকতে আগ্রহ প্রকাশ ররে।

কিন্তু মাদরাসার প্রিন্সিপাল আবদুল মালেক সংশ্লিষ্ট দফতরে গোপনে কয়েকজনের নাম সুপারিশ করে এবং উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামকে সভাপতি করে এবং তার পছন্দ মত সদস্য নির্বাচিত করে নিয়ে আসেন।

এরমধ্যে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগের দোসর নামে পরিচিত গোলাম রাব্বানীকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য করা হয়েছে। কিন্তু তার তেমন কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নাই। কিন্তু গভর্ণিং বডির গঠন প্রক্রিয়া অনুসারে বিদ্যুতসাহী সদস্যকে কমপক্ষে ফাজিল বা সমমান শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার বিধান থাকলেও তা মানা হয়নি।

বিষয়টি জানারপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে স্থানীয় জনগণ ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, মাদরাসার অধ্যাপক, ও শিক্ষকগণ মাষ্টার্স অনার্স ডিগ্রিধারী। আর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আন্ডার মেট্রিক। এটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেনে নেয়া যায় না।

এ নিয়ে মারাসায় স্থানীয়দের নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে নবাগত গভর্ণিং বডির সভাপতি ও শাজাহানপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, নেতাকর্মী ও কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। মুহূর্তেই উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিস্থিতি।

এলাকাবাসী জানায়, এসময় উপজেলা জামায়াত ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক ও নবাগত সভাপতি শহীদুল ইসলামের উপস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে জামায়াতে ইসলামীর ওয়ার্ড নেতা সামছুর রহমান ও জাহাঙ্গীর আলম প্রিন্সিপালকে লাঞ্ছিত করে।

স্থানীয়দের দাবী, ওই মাদরাসার সভাপতি সভাপতি থাকাকালীন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু ও বর্তমান বিদ্যুেতসাহী সদস্য রব্বানী মাদরাসার লাখ লাখ টাকা লুটপাট করেছে। তথাপি আওয়ামী লীগের এই দোসরকে বারবার কমিটিতে রাখা হয়, যাতে করে ঐসব দুর্নীতি প্রকাশ না হয়।

এ বিষয়ে মাদরাসার প্রিন্সিপাল আবদুল মালেক মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, নিয়ম মেনেই রব্বানীকে বিদ্যুতসাহী সদস্য করা হয়েছে।

এদিকে এ বিষয়ে শাজাহানপুর উপজেলা একাডেমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, বর্তমান বিধান অনুযায়ী বিদ্যুতসাহী সদস্য হতে হলে অবশ্যই ডিগ্রি পাশ বা সমমান পাশ হতে হবে।

এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি এলাকাবাসীর।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে