জমিজমা সংক্রান্ত পারিবারিক দ্বন্দের জেরে আংগারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সুজন সাহা কে (৫২) পিটিয়ে হত্যা করেছে তার চাচা এবং চাচাতো ভাইয়েরা।
আজ মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে শরীয়তপুর সদর উপজেলার মধ্যপাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে নিহতের চাচা শান্তি সাহা, চাচাতো ভাই সুদর্শন সাহা, সনদ সাহা, চাচি শঙ্করি সাহা সহ আরে কয়েকজন। এ সময় নিহতের ভাই চঞ্চল সাহাসহ আরো ২ জনকে আহত করা হয়। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সুজন সাহার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন। ঢাকা যাওয়ার সময় ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কের কাজীর হাট নামক স্থানে বিকেল চারটার দিকে সুজন সাহার মৃত্যু হয়।
নিহত সুজনের ছোট ভাই অঞ্জন সাহা জানায়, আমার পিতা প্রয়াত হরিদাস সাহা। হরিদাস সাহা ও শান্তি সাহা সহোদর। ১৯৭৯ সাল থেকে তাদের সাথে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছিল। বেশীর ভাগ সম্পত্তিনশান্তি সাহা নিজ নামে রেকর্ড করে নেয়। সেই থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় অসংখ্যবার দরবার শালিস হয়। শান্তি সাহা টাকার জোরে সমাজের প্রভাবশালী মাতুব্বরদের পক্ষ্যে নিয়ে আমাদের ওপর বার বার জুলুম অত্যাচার করেছে।
অঞ্জন সাহা আরো জানান, সম্প্রতি আমরা নিজেদের জমিতে (হরিদাস সাহার অংশে) কিছু গাছের চারা রোপন করি। সেই চারা গাছ মঙ্গলবার শান্তি সাহা তার লোকজন নিয়ে উপড়ে ফেলে। তার প্রতিবাদ করায় এই হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে। তিনি জানান, আমার ভাইকে হত্যার দায়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসির দাবি করেছেন অঞ্জন সাহা ও তার পরিবার।
আঙ্গারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনজিৎ সাহা বলেন, সুজন সাহা ২০০২ সাল থেকে আঙ্গারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। তিনি আমার সহকর্মী এবং প্রতিবেশী। সুজন সাহা অত্যন্ত ভদ্র এবং নিরহ লোা ছিল। শরীয়তপুরের সকল শিক্ষক সমাজের পক্ষ্য থেকে সুজনের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এই বিষয়ে পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সংবাদ পেয়েছি। নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এখনো নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।