আমতলী উপজেলার মানবতার ফেরিওয়ালা ক্ষ্যাত ইউএনও মুহাম্মদ আশরাফুল আলমের পদোন্নতি জনিত বদলিতে একাধিক সংবর্ধনায় তিনি নিজে কাঁদলেন উপস্থিত অন্যদেরকেও কাঁদালেন । এসময় হলরুম জুরে পিনপতন নিরবতার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষে শুধু একে অপরের দিকে তাকিয়ে চোখের পানিতে বিদায় জানিয়েছেন সকলের প্রিয়জন মানবতার ফেরিওয়ালাকে। এরকম এক হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার দুপুরে আমতলী উপজেলা পরিষদের হলরুমে।
মঙ্গলবার দুপুরে আমতলীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলমের পদোন্নতি জনিত বদলীর কারনে উপজেলা পরিষদের হলরুমে এক নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়। আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তারেক হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নাগরিক সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা, বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারন সম্পাদক মো: মনিরুল ইসলাম তালুকদার , যুগ্ম আহবায়ক তারিকুল ইসলাম টারজন, পৌর বিএনপি ও উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কবির উদ্দিন ফকির, ইসলামী আন্দোলনের আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক জিহাদী, জামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশ আমতলী শাখার সাবেক সেক্রেটারী মো. আব্দুল মালেক, আমতলী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: রেজাউল করিম, সহ সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন হাওলাদার ,রিপোটার্স ইফনিটির সভাপতি হায়াতুজ্জামান মিরাজ, সোহাগ বিশ্বাস, নাসরিন শিপু, সায়মন. বকুলনেছা মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদৌসি আকতার, চিলা হাসেম বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ( সেলিম ভ’ইয়া) এর আহবায়ক মো. দেলোয়ার হোসেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আবদুল্লাহ, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রুহুল আমিন টিপু , মো. মামুন, উপজেলা এতিম খানা সমিতির সভাপতি মাওলানা মোকছেদুল্লাহ, যুবদল পৌর শাখার আহবায়ক মো. জাকির হোসেন(প্রমুখ)
পৌরসভার সচিব মো. রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিদায়ী ইউএনও মুহাম্মদ আশরাফুল আলম। সভায় বক্তব্য রাখেন আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মজিবুল হায়দার, বরগুনা জেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারন সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুল ইসলাম তালুকদার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশিদ, হিসাব রক্ষক মো. নাসির উদ্দিন, সাংবাদিক জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন হাওলাদার প্রমুখ। সভায় সচিব রফিকুল ইসলাম কেদে ফেলেন এবং তিনি বলেন, আমার ২৬ বছরের চাকুরী জীবনে এরকম একজন ইউএনও সৎ দক্ষ জনবান্ধব পৌরপ্রশাসক হতে পারে তা আমার জানা ছিল না। তিনি বলেন পৌর কর্মকর্তা কর্মচারীদের বজু বছরের পুরানো বকেয়া দেড় কোটি টাকা বেতন ভাতা এক সঙ্গে প্রদান করেছেন। এটা আমাদের হৃদয়ের স্বর্নাক্ষরে লেখা থাকবে। ওই দিন সন্ধ্যায় অফিসার্স ক্লাবে এক বিদায়ী সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তারেক হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিদায়ী ইউএনও মুহাম্মদ আশরাফুল আলম।।
সভায় বক্তব্য রাখেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মাদ জামাল হোসাই, কৃষি কর্মকর্তা মো. রাসেল, বিআরডিবি কর্মকর্তা মো. মহিদুজ্জামান, সমাজসেবা কর্মকর্তা মানজুরুল হক কাওছারসহ সকল কর্মকর্তা বৃন্দ। পরের দিন সোমবার আমতলী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে এক সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মো. আব্দুল আজিজ মিয়া। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিদায়ী ইউএনও মুহাম্মদ আশরাফুল আলম। সভায় বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা কর্মকর্তা মানজুরুল হক কাওছার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মাদ জামাল হোসাই, বরগুনা জেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারন সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুল ইসলাম তালুকদার, বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. গোলাম মস্তফা, আমতলী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: রেজাউল করিম , সহ-সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন হাওলাদার সাংবাদিক জাকির হোসেন প্রমুখ।
যাযাদি/ এসএম