মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার শুকুরকান্দি নামক স্থানে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছে। একই সময়ে আহত হয়েছেন আরো ৪ জন। আহতদেরকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণে করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী আক্তার বানু(৪৫), গাংনী উপজেলার গাড়াডোব খাল পাড়ার কিবরিয়ার ছেলে শাহীন(৩২) ও মাইক্রোচালক পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে জামাল উদ্দীন(৫২)।
আহতদের মধ্যে গাংনী উপজেলার গাড়াডোব খালপাড়ার মৃত ফজল মালিথার ছেলে আলতাফ হোসেন (৪৮) ও তার স্ত্রী উলফা খাতুন (৩৫), মা ফজিলা খাতুনকে (৬৫) এবং জাকিরুলের স্ত্রী গোলাপী খাতুন (৩৫) কে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, শ্যামপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী আক্তার বানু রাত ১০টার দিকে তার মা ফজিলা খাতুনের চিকিৎসার জন্য মাইক্রোবাসে কুষ্টিয়া যচ্ছিলেন। পথিমধ্যে রাত সাড়ে দশটার দিকে শুকুরকান্দি নামকস্থানে পৌছুলে মাইক্রোবাস চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কুষ্টিয়াগামী ট্রাকের পিছনে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাস দুমড়ে মুচড়ে চালকসহ যাত্রী সকলেই আহত হয়।
স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছুলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আক্তার বানুকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাইক্রোচালক জামাল। অপরদিকে আহত শাহীনকে রাজশাহী মেডিকেলে নেয়ার পথে মারা যান।
তিনজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানি ইসরাইল জানান, মরদেহগুলো কুষ্টিয়া মেডিকেলে রয়েছে। মাইক্রোবাস থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
যাযাদি/ এসএম