শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

সাংবাদিককে মারধর ঘটনার মামলা : আসামিদের সাথে নিয়ে জামিন করালেন এসআই মনোহর 

সলঙ্গা (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ০৯ মে ২০২৫, ১৯:২৪
সাংবাদিককে মারধর ঘটনার মামলা : আসামিদের সাথে নিয়ে জামিন করালেন এসআই মনোহর 
এসআই মনোহর

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় তথ্য চাইতে গেলে সাংবাদিক মারধরের মোবাইল কেড়ে নেয়ার এবং তাদের আটকে মহিলা দিয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় সলঙ্গা থানায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি মহিবুল্লাহ সবুজ, নাসিমা খাতুন, হ্যাপী খাতুনকে সাথে নিয়ে কোর্ট থেকে জামিন করালেন সলঙ্গা থানার এসআই মনোহর।

মামলার বাদী সাংবাদিক শাহরিয়ার মোর্শেদ গণমাধ্যমকে বলেন, মামলা রেকর্ড হওয়ার দিন রাতে সাংবাদিকদের কাছ থেকে কেড়ে নেয়া ৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করলেও আসামিদের আটক করেনি সলঙ্গা থানা পুলিশের এসআই মনোহর। এ ঘটনায় সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান আসামিদের আটকের নির্দেশ দিলেও মামলার আয়ু এসআই মনোহর গরিমসি করতে থাকেন। আমরা অনেক বলেছি, সে নাকি সময় পায় না। কিন্ত মূলত সে ওদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে সময় খেপন করছিলে। তিনদিন পর সে কোর্টে গিয়ে মহিবুল্লাহ্ সবুজ তার বোন নাসিমা ও ও তার ভাগ্নির জামিন করিয়ে জামিনের রিকলের ছবি মোবাইলে ধারন করে নিয়ে আসে।

বিকেলে তার কাছ থেকে মামলার অগ্রগতি ও আসামিদের ধরার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসামিদের জামিন হয়েছে। তিনি সাথে কেন গিয়েছিলেন আসামিদের এটা জানতে চাইলে জানান, আপনি যেমন শুনেছেন আমিও শুনেছি শেখ হাসিনাও ফিরে এসেছে বলে উল্টো আমাকেই ভয় দেখান।

চিকিৎসাধীন সাংবাদিক জাকির হোসাইন বলেন, আজ এসআই মনোহরকে ফোন দিলে তিনি জানালেন, ভাই সারাদিন ব্যস্ত ছিলাম কোর্টে, আপনার মামলার আসামি মহিবুল্লাহ সবুজ সহ মোট ৩ জন আজ আমার সামনেই জামিন নিয়েছে, ও-ই এলাকায় আপনার নির্ভরযোগ্য লোক থাকলে তাদের সাথে কথা বলে তথ্য নেন, বাকি গুলো রে আটক করবো।

মামলায় প্রতারক মহিবুল্লাহ সবুজসহ মোট ৩ জনে আজকে জামিন হয়েছে। কোর্টে আজকেই মামলা উঠলো মহিবুল্লাহও আজকেই জামিন পাইলো এটা কিভাবে সম্ভব? জামিন পাওয়ার পর অপরাধীরা এলাকায় এসে নাকি উল্লাস ও করতে দেখা গেছে।

সুনির্দিষ্ট প্রামনআদি ও ভিডিও থাকা সত্ত্বেও তাদের আটক না করে গরিমসি করে তাদের জামিনে সহায়তা করা খুবই দুঃখজনক। এরকম খারাপ অফিসারদের জন্যই পুলিশের বদনাম হচ্ছে।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে এস মনোহর বলেন, আমি কোর্টে গিয়েছিলাম অন্য একটি মামলার বিষয়ে, শুনলাম তাদের জামিন হয়েছে তাই মোবাইলে রিকলের ছবি তুলে নিয়ে আসছিলাম।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান বলেন, আমার কোর্টে সাক্ষী থাকায় আমি বাহিরে ছিলাম। যাওয়ার সময় আটকের নির্দেশ দিয়েছিলাম কিন্তু তিনি তা না করে শুনলাম আসামিদের জামিতে সহায়তা করেছে। ইতিমধ্যে অডিও ও ভাইরাল হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। তারা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে