মাদারীপুরের ডাসারে প্রচণ্ড গরম ও তীব্র রোদে জনজীবন রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের প্রখরতাও বাড়তে থাকে। গরমের কারণে দিন মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
মাঠে ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকের অবস্থা খুবই নাজুক। গরমের কারণে বেশি মজুরি দিয়ে শ্রমিক নিতে হচ্ছে। আবার বেশি মজুরি দিয়েও অনেক জায়গায় মিলছে না শ্রমিক।
তবে, আগামী দু’একদিনের মধ্যে এর থেকে পরিত্রাণের কোনো সম্ভাবনা দেখছে না স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
১০ মে (শনিবার) দুপুরে ডাসারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র গরমে মানুষের পাশাপাশি প্রাণিকুলও ব্যাকুল হয়ে পড়েছে।
এদিকে, সূর্যের প্রখর তাপে সাধারণ মানুষের জীবন পুরোপুরিভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি না হওয়া আর প্রচণ্ড রোদে ঘর থেকে বাইরে বের হয়ে কাজ করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শ্রমিক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের। ভ্যান-রিকশাচালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়েছেন।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় চলাচল ও ফসলি মাঠে লোকজনের কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। এর পরও খেটে খাওয়া মানুষগুলো জীবন জীবিকার তাগিদে ও জরুরি প্রয়োজনে প্রচণ্ড গরমকে উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। অনেক পথচারী ছাতা মাথায় দিয়ে চলাচল করছেন।
কাজিবাকাই ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজপাড়া গ্রামের কৃষক আজাহার আলী বলেন, রোদের তেজের কারণে কাজ করতে পারছি না। গত কয়েকদিন যাবৎ প্রচণ্ড গরম পড়েছে। এ অবস্থায় গরমে ধান কাটা দুরূহ হয়ে পড়েছে। কিন্তু উপায় নেই। ঝড়-বৃষ্টির আগে যদি মাঠের পাকা ধান উঠাতে না পারি তাহলে চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
সবজি বিক্রেতা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘ঠা-ঠা রোদে গা পুড়ে যাচ্ছে। খরতাপে রাস্তা থেকেও বের হচ্ছে তাপ। এ পরিস্থিতিতে রাস্তার পাশে ছাতির তলায় বসে থাকাও যাচ্ছে না।ক্রেতারা ভোরের দিকে এসে সামান্য কেনাকাটা করে চলে যাচ্ছে।
উপজেলার ঘোষেরহাটের বিগ ডাব্লিউ ফার্মেসির পরিচালক ডা. মোবারক হোসাঈন বলেন, এই গরমে নানা বয়সীদের জ্বর, ঠান্ডা-কাশি ও পাতলা পায়খানাসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করতে হবে এবং তরল জাতীয় খাবার খেতে পরামর্শ দেন তিনি। তাছাড়া আক্রান্তদের দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
যাযাদি/আর