শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

শরীয়তপুরে জমি নিয়ে বিরোধে বাড়ি ভাঙচুর, দখলের চেষ্টা

নড়িয়া (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
  ১০ মে ২০২৫, ১৬:৩২
শরীয়তপুরে জমি নিয়ে বিরোধে বাড়ি ভাঙচুর, দখলের চেষ্টা
ছবি: যায়যায়দিন

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান বিরোধের জেরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৩ মে) সকালে উপজেলার সখিপুর থানার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের কালা মিয়া সরকার কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় একটি বাড়ি আংশিক ভাঙচুর এবং বসতঘরের বেড়া ও সীমানা প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী আ: মালেক প্রধানীয়া রবিবার রাতে সখিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, প্রতিবেশী আ: রহমান প্রধানীয়া (৬০), তার ছেলে জাকির হোসেন প্রধানীয়া (৪০) ও আবুল কালাম প্রধানীয়া (২০) সহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন এ ঘটনায় জড়িত।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই মালেক প্রধানীয়া ও আ: রহমান প্রধানীয়ার মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে একাধিকবার মীমাংসার চেষ্টা হলেও সমাধান হয়নি। সর্বশেষ শনিবার জমি মাপঝোক করে সমস্যার নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হলে তা ব্যাহত হয়। অভিযোগ রয়েছে, রহমান প্রধানীয়া জমি মাপতে অস্বীকৃতি জানিয়ে উল্টো মালেক প্রধানীয়ার বাড়িতে হামলা চালান। এতে বাড়ির টিনের চালা, বেড়া ও সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলা হয়।

ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালায় এবং মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। এসময় মালেক প্রধানীয়া ও তার স্ত্রী-সন্তানদের মারধর করা হয়। গুরুতর আহত মালেক প্রধানীয়াকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা মানুন সরকার জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিনের। দুই মাস আগেও মারামারির ঘটনা ঘটে। শনিবার স্থানীয় সালিশ বসার কথা থাকলেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ রয়েছে, অভিযুক্ত জাকির প্রধানীয়ার চাচা সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন, সেই সূত্রে ওইদিন পুলিশ ও সেনা সদস্যরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

মালেক প্রধানীয়া বলেন, আমরা ন্যায়বিচার চাই। হামলার পর থানায় অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।

অন্যদিকে অভিযুক্ত জাকির প্রধানীয়া দাবি করেন, এই জমির বৈধ কাগজপত্র আমাদের নামে রয়েছে। হামলা বা ভাঙচুরের অভিযোগ সত্য নয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে আমরা জমি দেখাতে গিয়েছিলাম।

এ বিষয়ে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুল হক বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে