বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় পানিতে ডুবে পাপিয়া খাতুন (১০) নামের এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৯ মে) দুপুরের দিকে উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। মৃত পাপিয়া ফাজিলপুর গ্রামের পায়েল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতোই দুপুরের দিকে খেলাধুলা করছিল পাপিয়া। কিন্তু হঠাৎ করে তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর তার বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যরা দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তার নিথর দেহ দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, পাপিয়া স্বভাবতই প্রাণচঞ্চল ও মেধাবী একটি মেয়ে ছিল। তার অকাল মৃত্যুতে পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্কুলের শিক্ষক ও সহপাঠীরাও এই মৃত্যুর খবরে গভীরভাবে শোকাহত।
সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিলাদুন নবী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, "ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। খবর পেয়ে সোনাতলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বর্তমানে বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।"
এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে কেউ কোনো অপ্রীতিকর বিষয় সন্দেহ করছেন না, তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।