ঈশ্বরগঞ্জে একটি পূর্বের মামলায় সাক্ষ্য দেয়ায় একই গ্রামের কয়েকজন নিরীহ ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১২ মে) দুপুর ১২টায় স্থানীয় কাকনহাটি গ্রামের জুয়েল মাহমুদ নামের এক ব্যক্তি নিজ বাড়িতে বিষয়টি নিয়ে সংবাদসম্মেলন করেছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, শরিফা আক্তার মামলায় যেসব ব্যক্তিকে সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করেছেন, তাদের কয়েকজন দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় অনুপস্থিত, এবং এজাহারে ঘটনার যে তারিখ দেখানো হয়েছে, ওই তারিখে মারধরের কোন ঘটনাই ঘটেনি। পূর্বের অন্যদের সাথে একটি মারামারির ঘটনায় আহত ছবি দেখিয়ে থানায় মামলাটি রের্কড করা হয়েছে। মামলার এজহারে যে সব ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। ঘটনাস্থলে সিসিটিভি থাকলেও বাদি কোনো ভিডিও ফুটেজ উপস্থাপন করতে পারেনি। মামলাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হয়রানিমূলক বলে দাবি করেন অভিযোগকারী।
তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু তদন্ত ও মিথ্যা মামলার অবসানের দাবি জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে মামলার বাদি শরিফা আক্তার বলেন, তার স্বামীকে সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে মারপিট করা হয়েছে। হঠাৎ আক্রমন করে মারপিট করে ৫মিনিটের মধ্যেই আসামীরা চলে যায় সে কারণে এলাকাবাসী কিছুই টের পায়নি।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওবায়দুর রহমান জানান, প্রাথমিক তদন্তে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে এবং তদন্তে যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।