আগামী ঈদুল আজহা উপলক্ষে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলায় কোরবানির জন্য বিভিন্ন খামারে এবং প্রান্তিক পর্যায়ে প্রস্তুুত রাখা হয়েছে ৬,৭৭৭ টি কোরবানির পশু। এর মধ্যে গরু-৪,৫২৫ টি ও ছাগল- ২,২৫০ টি। চাহিদা আছে ৪,১৪০টি ও উদ্বৃত্ত ৩৮৫টি এবং ছাগলের চাহিদা ২,০০০ টি ও উদ্বৃত্ত ২৫০টি।
জানা গেছে, গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলায় প্রান্তিক পর্যায়ে চাষিরা লাভের ও সংসারে স্বচ্ছলতার জন্য খামারের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে বাড়িতে বাড়িতে পশুর লালন পালন করছেন।
কোরবানির ঈদের বেচাকেনা শুরু থেকে শেষ দিকে তারা প্রত্যকেই নিজেরদের পশুগুলিকে বেশী দামে বিক্রির আশায় বেশি বেশি যত্ন নিতে কোমর বেঁধে নেমেছেন।
একই ভাবে খামারি ও প্রন্তিক চাষিরা কোরবানির জন্য যে সব পশু প্রস্তুত রেখেছেন সেই পশুগুলিকে কোরবানির হাটে তোলার জন্য বেশী বেশী যত্ন নিচ্ছেন।
ক্রেতাদের দৃষ্টি আর্কষনের জন্য যত প্রকার কৌশল আছে তার প্রত্যকটি প্রয়োগ করছেন খামারী ও প্রান্তিক পর্যায়ের চাষিরা।
গৃহ পর্যায়ে পালিত এবং খামারে পালিত পশুর যত্ন দেখে মনে হয় সবাই প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে। খামারি ও প্রান্তিক চাষিরা কেউ পিছিয়ে নেই। সব মিলে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
ইতিমধ্যে অনেক খামারী এবং প্রান্তিক চাষিরা তাদের পালিত পশু বিক্রি শুরু করেছেন। ঈদুল আজাহার একমাস মাত্র বাকি। একজন খামারী বলেন, পশু বিক্রি প্রথম দিকে দাম কম থাকে। শেষ দিকের হাটে দাম ভালো পাওয়া যায়।
এলাকার অনেক খামারী এবং প্রান্তিক চাষিরা বেশী দামের আশায় নিজেদের পালিত পশুগুলি ধরে রেখে দেরি করে বিক্রির জন্য হাটে তুলবেন । প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছরে কাশিয়ানীতে মোট পশুর চাহিদা রয়েছে (একক- ২,৩০০ ও পারিবারিক- ৯২০০ ) আনুমানিক মোট ১১,৫০০ পরিবার কোরবানী দিতে পারে।
এবছরে কোরবানীর পশু রয়েছে গরু-৪,৫২৫ টি ও ছাগল- ২,২৫০ টি। চাহিদা আছে ৪,১৪০টি ও উদ্বৃত্ত ৩৮৫টি এবং ছাগলের চাহিদা ২,০০০ টি ও উদ্বৃত্ত ২৫০টি
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাক্তার শুভংকর দত্ত এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘নিয়মিত খামারী ও প্রান্তিক পর্যায়ে আমরা যথেষ্ঠ সেবা দিয়েছি। আশা করি উপজেলার চাহিদা পূরন শেষে কিছু প্রাণি উদ্বৃত্ত থাকবে। আগামী বছরে আরো বেশী পশু প্রস্তুুত থাকবে। আমাদের উপজেলায় বর্তমানে ১১৪২ টি দুগ্ধ খামার, ৮৪৮ টি মোটা তাজাকরন খামার ৭৯৬ টি ছাগলের খামারে নিয়মিত পশু পালন করা হচ্ছে।’