হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্টির লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে ভাংচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সকালে উপজেলার জলসুখা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়- ওই গ্রামের ডাঃ রেজাউল করিম ও জলসুখা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলুর লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত গ্রাম্য বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জেরধরে মাসখানেক পুর্বেও তাদের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সবশেষ সোমবার (১২ মে) উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ হয়। যদিও বিষয়টি তাৎক্ষণিক স্থানীয় মুরুব্বিয়ানদের মাধ্যমে শেষ হয়। এরই জেরধরে মঙ্গলবার সকালে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারী পুরুষসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে সাইকুল বেগম (৫০), জিয়াউর রহমান (৩৫), তকদির মিয়া (৪২), ইমন (২২), নাইম মিয়া (২৪), শামিম মিয়া (১৯), মছদ উল্লা (৬০), জয় (২০), মুসকুদ উল্লা (৫০), আলী নুর (১৪), ফয়সল (১৪) কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ডাঃ রেজাউল করিম জানান, কিছুদিন পূর্বে প্রতিপক্ষরা আমার উপর হামলা করে। এই ঘটনায় আমি একটি মামলা দায়ের করি। সোমবার ওই মামলায় পুলিশ আসামি ধরতে গ্রামে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের লোকজনকে মারধোর করে। মঙ্গলবারও তারা আমাদের লোকজনের উপর হামলা করলে এলাকার অধিকাংশ লোকজন একত্রিত হয়ে তা প্রতিহত করে।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।