সারাদেশ

যমুনা বিধৌত সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলেদের মাঝে ৩২টি বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার (১৭ মে ) বেলা ১টার দিকে উপজেলা কাঁঠাল বাগান চত্তরে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে বিভিন্ন ইউনিয়নের ৩২ জন জেলেদের মাঝে ৩২টি বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়৷

উপজেলা মৎস্য দপ্তরের ক্ষেত্র সহকারী শফিকুল ইসলাম শফির সঞ্চালনায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তানভীর হাসান মুজমদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান ।

আরো উপস্থিত ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এম শাখাওয়াত হোসেন, প্রাণী সম্প্রসারণ অফিসার ডা: জান্নাতি, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার সেলিম রেজা, সমাজসেবা অফিসার মামুনুর রহমান , মহিলা বিষয়ক অফিসার শামীম জাহিদ তালুকদার, আনসার ভিডিপির প্রশিক্ষক আব্দুল মান্নান মৃধা ও উপ প্রকৌশলী নাবিল আহমেদ এবং উপকারভোগী ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন ।

এদিকে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ ও জাটকা আহরণে বিরত জেলেদের মাঝে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে উপজেলা মৎস অফিস,উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৩২ জন প্রান্তিক কার্ডধারী জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ৩২ টি বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে।

নিষিদ্ধ সময়ে পোনা মাছ রক্ষা করাও আমাদের দায়িত্ব। জেলেদের নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ শিকার থেকে বিরত রাখতে বকনা বাছুর ও চাউল দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে৷ আপনারা কেউ এ সময় নদীতে নামবেন না। আমারা চাইনা কারও জেল-জরিমানা হোক৷ চৌহালীর সব জেলেকে সরকারি নির্দেশনা মেনে মাছ শিকারের পরামর্শ দেন তিনি।

উল্লেখ্য, অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল ও ইলেকট্রিক শর্ক গুলোর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।