দেড় লাখেরও বেশি মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার এরকমাত্র সরকারী হাসপাতাল কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে বহিঃবিভাগ সেবা চালু হয় এবং ২০২০ সালের মার্চ মাসে পূর্ণাঙ্গভাবে সেবার কার্যক্রম শুরু হয়। উদ্বোধনের পর থেকেই নানা সংকটে চলতে থাকে সেবার কার্যক্রম। প্রয়োজনের তুলনায় নামমাত্র জনবল দিয়ে চলে আসছে রোগীদের সেবা।
৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় বাস্তবায়ন করা গেলেও ৩১ শয্যার জনবল দিয়েই চলছে কার্যক্রম। শনিবার (১৭ মে) হাসপাতাল ঘুরে আমরা দেখা যায় ১০ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও আছেন মাত্র ৪ জন। ৩১ শয্যার সেবার জন্য যে নার্স ও মিডওয়াইফ থাকার কথা তারা থাকলে ৫০ শয্যার সেবা দিতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন।
ডায়বেটিস ও হাইপারটেনশন রোগীদের মাসিক কার্ড সিস্টেম করে দেওয়া হয়েছে। যা প্রতি মাসে হাসপাতালে বা কমিউনিটি ক্লিনিকে গেলে ১ মাসের ঔষুধ সহ পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ত্রিশ বছরের বেশি বয়সের মহিলাদের জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে ভায়া পরীক্ষা চালু রয়েছে। যক্ষার লক্ষণ দেখা দিলে আধুনিক মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষা করে ওষুধ প্রদান করা হচ্ছে।
হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পূর্বের থেকে উন্নত দেখা গিয়েছে। হাসপাতালে আগত সকল রোগীদের স্বাস্থ্যশিক্ষা প্রদানের জন্য প্রতিটি ফ্লোরে সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে।
হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তার অফিসে গেল দেখা যায়, হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় আধুনিকায়ন করা হয়েছে। হাসপাতালে ২৪ ঘন্টা এ্যম্বুলেন্স সেবাও বর্তমানে চালু রয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বাজনদের সাথে কথা হলে তারা জানিয়েছেন পূর্বের তুলনায় এই হাসপাতালের সেবার মান অনেক ভালো।
এ ব্যাপারে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ইসরাত জাহান উম্মন বলেন, উপজেলা শহরের এই হাসপাতালে চাহিদার তুলনায় অনেক কিছুই কম। স্বল্প জনবল দিয়েই আমরা চেষ্টা করছি রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে। আপনারা কালুখালী সরকারী হাসপাতালে যে কোনো সেবা গ্রহণ করতে যে কোনো সময়ে আসতে পারেন। হাসপাতালে জরুরী সেবা ২৪ ঘন্টাই চালু আছে। বিশেষ করে হাইওয়ে রোডের পাশে এ হাসপাতালটি থাকায় বিভিন্ন সময় এক্সিডেন্টজনিত রোগীর জরুরী সেবা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। তাৎক্ষনিক জরুরী সেবা দিয়ে সিরিয়াস রোগীকে অন্যত্র রেফার্ড করি।