কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, কুলিয়ারচর, নিকলী, অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিঠামইন, ভৈরব, কটিয়াদী, হোসেনপুর, করিমগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ সদর খাদ্য গুদামে ধান ও চাল সরাসরি কৃষকদের মধ্য থেকে ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে, নিকলী, অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিঠামইন সরকারিভাবে খাদ্য গুদামে কৃষকদের নিকট থেকে কৃষি কার্ডের মাধ্যমে গুদাম পরিদর্শকগণ ধান সংগ্রহ করছেন।
শনিবার বিভিন্ন হাওর অধ্যুষিত উপজেলা গুলোর খাদ্য গুদামে সরেজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এসব খাদ্য গুদামে ২৫-৩৫ ভাগ ধান সংগ্রহ করছে সরাসরি কৃষকদের নিকট থেকে। সাধারণ কৃষকদের অভিযোগ তাদের ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে না।
তবে, প্রতিটি খাদ্য গুদামে পরিদর্শকরা বলেন, তারা কৃষি বিভাগের কৃষি কার্ডের মাধ্যমে কৃষকদের নিকট থেকে ধান সংগ্রহ করছেন।
এবার সরকার ৪১-৪৩ কেজি হিসেবে ১,৪৪০ টাকা দরে ধান সংগ্রহ করছেন। আর অন্যদিকে বিভিন্ন মিলারদের নিকট থেকে চাল সংগ্রহ করছেন।
তবে, সরকার যে দর দিয়েছে তা মিলারদের দাম দরে মিলছে না এবং চাল সংগ্রহ হচ্ছে মন্তরগতিতে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন মিলার জানান, সরকারের সাথে তাদের চুক্তির কারণে এবং চুক্তি রক্ষার জন্য বিভিন্ন খাদ্য গুদামে তারা মোটা চাল দিচ্ছেন। এতে করে তাদের লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি জেনেও খাদ্য গুদামে চাল দিচ্ছেন।
গতকাল অষ্টগ্রাম উপজেলার বাঙ্গালপাড়া খাদ্য গুদামের পরিদর্শক মোঃ জয়নাল আবেদীন ভূইয়া যায় যায় দিনকে বলেন, তার গুদামে আজ পর্যন্ত সরাসরি কৃষকদের নিকট থেকে ৩৫ ভাগ ধান সংগ্রহ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।