নওগাঁর মান্দায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে বিপাকে পড়েছেন নামে শাকিল নামে এক কৃষক। মাঠেই নষ্ট হচ্ছে নিজ জমিতে রোপিত বোরো ধান। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
শনিবার (১৭ মে) ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের চকরাজাপুর গ্রামে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে প্রসাদপুর ইউনিয়ন গ্রাম আদালতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরেও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয় এলাকাবাসী।
ভূক্তভোগী মৃত তফির ছেলে শাকিল জানান, চকরাজাপুর মৌজায় যৌথ মালিকানার খতিয়ানের পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত জমি মৌখিক ভাগবন্টনের মাধ্যমে সাহামভাবে দীর্ঘ দিন যাবৎ ভোগ দখল করে আসছিলেন। উক্ত মৌজার ৫৮, ২২৭,১৬৭,৬২,১৩৯ নং খতিয়ানের জমি নিয়ে প্রায় ৬ মাস যাবৎ একই গ্রামের মফিজ উদ্দিন গং এর সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিলো।
ভূক্তভোগীদের দাবি যে, প্রতিপক্ষের লোকজন যদি জমি পায় তবে তারা দিতে রাজি আছেন। তারাও প্রতিপক্ষের লোকজনের বাড়ি ভিটায় জমির ভাগ পাবেন বলে জানান।
অথচ,তাদের অংশ বুঝিয়ে না দিয়েই জমি জবর দখলের পায়তারা করছেন। এমনকি ভূক্তভোগীরা তাদের জমিতে রোপিত ধান কাটার পর তা ঘরে তোলার সময় প্রতিপক্ষের লোকজন বাধা প্রদান করায় চরম বিপাকে পড়েছেন। আর সেকারণে বৃষ্টির পানিতে সেসব ধান জমিতেই নষ্ট হচ্ছে।
এতে করে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তারা। এর সুষ্ঠ সমাধানের জন্য বিভিন্ন নেতাকর্মী এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ধর্ণা দিয়েও ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
প্রতিপক্ষের মফিজ উদ্দিন বলেন,বিবাদমান জমিতে ধান লাগানোর জন্য শাকিলকে নিষেধ করা হয়েছিলো। এর পরেও সে ধান লাগিয়েছে। এরপর ধান কাটার সময় বিষয়টি সমাধানের জন্য উভয় পক্ষ গ্রাম আদালতের সরনাপন্ন হয়েছি। এমতাবস্থায় যাতে গন্ডগোল না হয়,সেজন্য ধান কাটতে নিষেধ করা হয়েছে।
প্রসাদপুর ইউ’পি সদস্য নেকবর আলী বলেন, উভয় পক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ধান কাটতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে,আগামীকাল রোববার তৃতীয় পক্ষের লোকজন দিয়ে ধানগুলো কেটে শাকিলের মামার বাড়িতে উঠিয়ে রাখা হবে। এরপর আগামী বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে গ্রাম আদালতে বসার কথা রয়েছে। সেদিন জমির হিসাব-নিকাশ অন্তে যে প্রকৃত হকদার তাকে ধানগুলো বুঝিয়ে দেয়া হবে।
৭নং প্রসাদপুর ইউ’পি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন মন্ডল বলেন, ভূক্তভোগীরা উভয় পক্ষই গ্রাম আদালতের সরানাপন্ন হয়েছেন। এতে করে বিবাদমান জমির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ধান কাটতে নিষেধ করা হয়েছে।
তবে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে হিসাব-নিকাশ অন্তে যে জমির প্রকৃত হকদার তাকে ধান বুঝিয়ে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।