সাবেক সংসদ সদস্য ও নীলফামারী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন বলেছেন, মুক্তি যুদ্ধের মুলমন্ত্র ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচার। দুর্ভাগ্য আমাদের দেশের থেকে সাম্য চলে গিয়েছিল। মানবিক মর্যাদা বলে আমাদের কিছু ছিল না। শুধু মাত্র আওয়ামীলীগ ফ্যাসিষ্ট যারা ছিল তাদের জন্য ছিল অধিকার।
গত ১৬বছর আমরা আপামর জনসাধারণ আমাদের সাম্য হারিয়েছি। আমরা বৈষম্যের শিকার হয়েছি। আমরা মানুষ হিসেবে মানবিক মর্যাদা হারিয়েছি। আমরা সামাজিক সুবিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আল্লাহর রহমত এবং আপামর জনসাধারণ দেশের ১৮কোটি মানুষের এই আন্দোলনের ফসল বিশেষ করে গত ১৬বছর ধরে বিএনপি তথা বিরোধীদল যে আন্দোলন করেছে এই আন্দোলন করতে গিয়ে শত শত নেতাকর্মীকে প্রান দিতে হয়েছে।
শত শত নেতাকর্মী গুমের শিকার হয়েছে। কত মায়ের বুক খালি হয়েছে। কত সন্তান তার বাবাকে হারিয়েছে। কত বাবা মা তার সন্তানকে হারিয়েছে। সম্মিলিত আন্দোলন করতে গিয়ে আমরা হাজারো প্রাণ হারিয়েছে। আন্দোলনের ফসল ফ্যাসিষ্ট মাফিয়ালীগ দেশ থেকে বিতারিত হয়েছে। আমাদের দেখিয়েছে এই দেশের জনগন।
এটা পৃথিবীতে বিরল। আন্দোলনে ছোট ছোট বাচ্চারা রাস্তায় নেমে এসেছে তাদের পিছনে তাদের বড়ো বড়ো ভাই বোনেরা তাদের পিছনে তাদের মা বাবারা। সকলেই নিরস্ত্র হয়ে, গুলির সামনে ট্যাংকের সামনে অকাতরে তারা জীবন দিয়েছে আজকের এই বাক স্বাধীনতার জন্য, গনতন্ত্রের জন্য। এ ঘটনা এর আগেও ঘটেছিলো ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫পর্যন্ত এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিলো। তারা রক্ষী বাহিনী তৈরী করে ৩৩হাজার সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে।
তিনি আরো বলেন, আজকে সংস্কারের আওয়াজ উঠেছে। মনে রাখতে হবে ভাই বোনেরা এই সংস্কার বিষয়ে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান অনেক আগেই ৩১দফার একটি সংস্কারের প্রস্তাব আপনাদের সামনে তুল ধরেছেন। আমাদের বিএনপির চেয়ারম্যান আপনাদের সামনে সংস্কারের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে। আমরা চাই যে, এই সরকারকে আমরা যেভাবে সহযোগীতা করছি সেই সহযোগিতা দেশের আপামর জনগণও করছে। বিএনপির এই সংস্কারের প্রস্তাবকে সঙ্গে নিয়ে আরও অন্যান্য দলের যে সংস্কার আছে, সেগুলোকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংক্ষিপ্ত করে দেশকে একটি গনতান্ত্রিক উপায়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে।
ডোমার উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম কালুর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, আমিনুল ইসলাম, নীলফামারী জেলা বিএনপি’র সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকার, ডোমার উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আখতারুজ্জামান সুমন, ডোমার পৌরসভা বিএনপির সভাপতি আনিছুর রহমান আনু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাবেক মেয়র মনছুরুল ইসলাম দানু, আবু সাদেক চৌধুরী লুলু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপির প্রতিটি ইউনিটের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনকে ফুল ও সম্মাননা স্মারক দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। রোববার ডিমলা উপজেলা বিএনপির আয়োজনে গণসংবর্ধনা ও জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে শনিবার দুপুরে নীলফামারী জেলা বিএনপি জেলা শহরে তুহিনকে গনসংবর্ধনা প্রদান করেন।