নোয়াখালীর চাটখিলে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সম্পত্তি ও পারিবারিক কলহের জের ধরে বৃদ্ধ বামা-মাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
পাশাপাশি বৃদ্ধ বাবা-মাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করারও অভিযোগ উঠেছে। ছেলে ও ছেলে বউয়ের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বৃদ্ধ এই মা বাবা। তারা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সাংবাদিকদের কাছে কান্না জড়িত কন্ঠে শনিবার বিকেলে অসহায় বাবা সিরাজুল ইসলাম ও মা আয়েশা আক্তার বলেন, বৃদ্ধকালে একটু ভালো থাকার আশায় বড় ছেলে ওমর ফারুককে বহু কষ্টে গ্রীসে পাঠান।
গ্রীসে যাওয়ার পর ফারুকের অবস্থা ভালো হলে সে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে ফারুক দেশে আসলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় মা-বাবার ভরনপোষণ ও সেবাযত্ন করার অঙ্গীকার করে।
বিনিময়ে বাবা সরল মনে বাড়ির দোতালা হেবা করে দেন। এরপর থেকেই দোতালার ছাদের দরজায় তালা দিয়ে রাখে ফারুকের পরিবার।
এ নিয়ে বড় ছেলে ও ছোট ছেলের মাঝে ঝগড়া-বিবাদ তৈরি হলে বাবা ছোট ছেলেকেও বাড়ির নিচতলা হেবা করে দেন।
ছোট ছেলে ফরিদকে নিচতলা হেবা করে দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওমর ফারুক ও তার স্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে মা-বাবা ও ছোট ভাইয়ের উপর নানাভাবে নির্যাতন শুরু করেন।
এছাড়া তারা আরও বলেন, বৃদ্ধ বয়সে কোথায় যাওয়ার সুযোগ নেই বিধায় অনেকটা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অন্যদিকে মিথ্যা মামলা ও বিভিন্ন লোক দিয়ে হুমকি-ধমকির কারণে তারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
এলাকাবাসী জানায়, বৃদ্ধা মা-বাবার ভরণপোষণ দেয় না ঠিক মতো। বৃদ্ধ বয়সে তারা বহু কষ্টে জীবন-যাপন করছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মানিকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, লোকমুখে জানা যায়, ফারুক অসামাজিক প্রকৃতির লোক।