মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সদরপুরে নেতা কর্মীদের মুক্তির দাবীতে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন

সদরপুর (ফরিদপুর)প্রতিনিধি
  ১৯ মে ২০২৫, ১৭:১২
সদরপুরে নেতা কর্মীদের মুক্তির দাবীতে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন
ছবি: যায়যায়দিন

ফরিদপুরের সদরপুরে সদরপুর থানা পুলিশ ও যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক হওয়া কর্মী ও তার দুই পুত্রের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করে মানববন্ধন করেছে সদরপুর উপজেলা শাখা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আটককৃত মোঃ আইয়ুব ফকির সদরপুর উপজেলা শাখার আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক। ও তার দুই পুত্র মুন্না ফকির (২০)বায়েজিদ ফকির(২৫)।

আজ সোমবার (১৯ মে) সকাল ১১টার দিকে সদরপুর থানা ও উপজেলা পরিষদ সড়কে দাঁড়িয়ে দুই শতাধিক নেতাকর্মীরা তাদের মুক্তির দাবীতে ঘন্টাব্যাপী মানবন্ধন করে। সদরপুর উপজেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ মাষ্টারের সভাপতিত্বে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানিয়ে বলেন, মোঃ আয়ুব ফকিরকে একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বেআইনিভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

1

তাদের কর্মী আয়ুব ফকির শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করা একজন রাজনীতিবিদ। তাকে গ্রেফতার করে জনগণের কণ্ঠরোধের অপচেষ্টা চলছে। আমরা এই গ্রেফতারের তীব্র নিন্দাও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে তাকে মুক্তি না দিলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে তারা ঘোষনা দেন। আরও বলেন, দেশের ধর্মভিত্তিক রাজনীতির ওপর বারবার হামলা চালানো হচ্ছে। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আয়ুব ফকিরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো যাচাই করে দেখা হয় এবং কোনো ষড়যন্ত্র থাকলে তা উৎঘাটন করতে হবে।

আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইয়াকুব আলী মাতুব্বর, সদরপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রবিউল ইসলাম ভাসানী, সদরপুর ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা সাদিকুর রহমান সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আফতাব উদ্দিন, হাফেজ মাওলানা মুক্তার হোসেন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, সদরপুরে সদরপুর থানা ও যৌথবাহিনী অভিযানে ১১জনকে শনিবার (১৭মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের যাত্রাবাড়ি ও ঠেঙ্গামারী গ্রামে এ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের কে সদরপুর থানা ভাংচুর ও অস্ত্রলুট মামলায় আসামী করা হয়।

এ ব্যাপারে শনিবার সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হাসান বলেন, গত ৫আগস্ট কিছু দুষ্কৃতিকারী থানায় হামলা করে ভাংচুর চালায়। সাথে বেশ কিছু অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় একটি মামলা হয়। যৌথ বাহিনীর সহায়তার তাদের কে তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের কে গতকাল রাতে কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে