রাজবাড়ী সদর থানায় দায়েরকৃত আলোচিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার মামলায় রাজবাড়ী থানা কৃষক লীগের সভাপতি আল মামুন আরজু (৪৯)-কে গ্রেপ্তার করেছে রাজবাড়ী থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখ বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে রাজবাড়ী-ঢাকা মহাসড়কের বড়পুল এলাকার গোলচত্বরস্থ স্থানে একটি নিরস্ত্র ছাত্র ও অভিভাবকবৃন্দের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা।
এজাহার অনুযায়ী, কাজী কেরামত আলী ও কাজী ইরাদত আলীর নেতৃত্বে অভিযুক্ত মোঃ শফিকুল হোসেন, সাইফুদ্দিন আহমেদ সুজন, আশরাফুল হাসান আশা, ফারুক ঠিকাদারসহ অন্যান্য আসামিরা বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, চাপাতি, লোহার রড ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ঘিরে ফেলে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা নিক্ষেপ ও গুলি ছুঁড়ে চরম ত্রাস সৃষ্টি করে।
হামলায় আহত হন সোনিয়া আক্তার স্মৃতি, নুরুননবী, আশিক ইসলাম অভি, রাজিব মোল্লা, মেহেরাব, আলতাফ মাহমুদ সাগর, উৎস্য সরকার, রিয়াজসহ বহু আন্দোলনকারী। আহতদের গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসা নিতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় রাজিব মোল্লা বাদী হয়ে ৩০ আগস্ট ২০২৪ তারিখে রাজবাড়ী সদর থানায় ১৪ নম্বর মামলা (জি আর নং-৩৩২/২০২৪) দায়ের করেন। মামলায় ১৭০ জন এজাহারনামীয় আসামি এবং ৩০০ জন অজ্ঞাতনামাকে অভিযুক্ত করা হয়। মামলাটি দণ্ডবিধির ১৪৩/১৪৮/৩৪১/৩০৭/৩২৫/১১৪/৩৪ ধারা এবং ৩/৬ বিস্ফোরক দ্রব্য আইন, ১৯০৮ এর আওতায় রুজু করা হয়।
পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এর তত্ত্বাবধানে এসআই (নিঃ) মোঃ মিকাইল হোসেন এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ২৩ মে ২০২৫ রাত ৯টা ১৫ মিনিটে রাজবাড়ী সদর থানাধীন রায়নগর এলাকা থেকে মামলার অন্যতম আসামি আল মামুন আরজু (পিতা-মৃত আঃ আজিজ, সাং- কাজীবাধা, থানা ও জেলা- রাজবাড়ীকে রাজবাড়ী করে।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত আল মামুন আরজু দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন এবং মামলার গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে।