সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে চামরদানী ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওয়াশীল আহম্মেদ সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,সাড়ারকোনা মোড় থেকে আমজোড়া পর্যন্ত রাস্তা ও একটি ব্রিজ নির্মাণে এলজিইডির প্রকল্পের আওতায় টেন্ডার পায় মেসার্স তমা ও বসুন্ধরা এন্টারপ্রাইজ।
তবে অভিযোগ রয়েছে, তৎকালীন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের প্রভাব খাটিয়ে কাজটি সাব-কন্ট্রাক্ট হিসেবে গ্রহণ করেন সাড়ারকোনা গ্রামের রুহুল আমীন নামের এক ব্যক্তি।
রুহুল আমীন আওয়ামী ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি চাকুরীজীবী হয়েও দীর্ঘদিন ধরে এসব কাজের সাথে জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
ওয়াশীল আহম্মেদের অভিযোগে আরও বলা হয়, যদিও রাস্তার নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে, তবে ব্রিজের নির্মাণকাজ এখনও চলমান। ইতোমধ্যে রাস্তার বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, যা নিম্নমানের কাজের প্রমাণ বহন করে।
এছাড়াও ব্রিজ নির্মাণে ব্যবহৃত বালু, পাথরসহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী নিম্নমানের হওয়ায় প্রকল্পে অনিয়ম স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
তিনি অভিযোগে দাবি করেন, কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজশে প্রকল্পটি থেকে কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ অবস্থায় প্রকল্পটির নিরপেক্ষ তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে রুহুল আমীন বলেন,আমি একজন সরকারি চাকুরীজীবী। এসব কাজের সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নাই।আমাকে সমাজে হেয়-প্রতিপন্ন করতে একটি চক্র উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।