পঞ্চগড়ে মাদ্রাসা ছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে জেলা শহরের ডোকরোপাড়া এলাকায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন আবুল বাশার নামে এক ভূক্তভোগী। এ সময় মাদ্রাসা ছাত্রীর মা মহসিনা বেগমসহ সংশ্লিষ্টরা ও সংবাদমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে ভূক্তভোগী আবুল বাশার বলেন, ‘আমি দার আত তাওহীদ এডুকেশন ফাউন্ডেশনের একজন সদস্য। ফাউন্ডেশনের আওতায় সারাদেশে আমাদের ৪৫টি মাদ্রাসা রয়েছে। জেলা শহরের কায়েতপাড়া এলাকায় অবস্থিত তাওহীদ মডেল মাদ্রাসাটি ওই ফাউন্ডেশনের আওতায় চলে। তবে আমি এই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদে কোন দায়িত্বে নেই।’
তিনি আরও বলেন, গত ১৮ মে সন্ধ্যায় সুমনা আক্তার (১৩) নামে এক শিক্ষার্থী শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে মারা যায়। পরে তার মৃত্যুর খবরটি পরিবারের সদস্যদের কাছে জানানো হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় পরদিন তার মরদেহ দাফন করা হয়।’
আবুল বাশার বলেন, ‘ওই পরিবারটিকে সহায়তা করতে আমি হাসপাতালে ছুটে যাই এবং দাফন কাজে সব ধরনের সহযোগিতা করি। এর আগেও দারা আত তাওহীদ এডুকেশন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমরা ওই শিক্ষার্থীর দুই বোনকেও বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু মৃত্যুর কয়েকদিন পরে শিক্ষার্থী সুমনার দূর সম্পর্কের এক দুলাভাই শান্ত আমার সঙ্গে দেখা করতে চান। পরে তিনি আমাকে জানান সুমনার মৃত্যুটি রহস্যজনক। ময়নাতদন্ত ছাড়াই সুমনার মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এ কারণে যদি তাকে টাকা দেওয়া না হয় তাহলে তিনি দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এ ছাড়া নানাভাবে হয়রানি করারও হুমকি প্রদান করেন তিনি। পরে আমাকে জড়িয়ে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়।’
এ সময় লিখিত বক্তব্যে এসব সংবাদ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট দাবি করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে আবুল বাশারের মানহানি করার জন্য একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে বলেও জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মারা যাওয়া শিক্ষার্থী সুমনার মা মহসিনা বেগম বলেন, ‘আমাকে কয়েকজন জোরপূর্বক বক্তব্য দিতে বলেন। তারা জানান, আমি যদি আমার মেয়ের হত্যার ঘটনায় মামলা করি তাহলে তারা সব খরচ বহন করবেন। তারা আমাকে ভয় দেখালে আমি ভয়ে তাদের বক্তব্য প্রদান করি। আমি চাই না আমার মেয়েকে নিয়ে আর কোনো কথা ছড়ানো হোক। আমার হাফেজা মেয়ের আমি জান্নাত কামনা করি। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাত নসিব করেন।’