ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় প্রাপ্ত চাল নিতে উপকারভোগীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ ওঠে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, সোমবার (২৬ মে) সকাল থেকে মাধবখালী ইউনিয়নের ৩২৬ জন উপকারভোগীর মধ্যে ৫ মাসের ভিজিডি চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। এ বাবদ চৌকিদার ও দফাদারের মাধ্যমে প্রতিজন উপকারভোগীর কাছ থেকে ৫শ’ টাকা করে আদায় করেন ওই সচিব। কিন্তু জেসমিন বেগম নামে এক নারীর কাছে ৫শ’ টাকা নিয়েও তাকে চাল না দিলে শুরু হয় হট্টগোল। জড়ো হতে থাকেন বিভিন্ন লোকজন।
এদিকে চাল নিতে সরকারকে কোনো টাকা দিতে হয় না জানার পর উপস্থিত ভুক্তভোগীরা তাদের টাকা ফেরত ও সচিবের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে উপস্থিত জনতা সচিবকে একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
ভুক্তভোগীরা বলেন, ‘আমাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চৌকিদার ও দফাদার চাল দেওয়ার কথা বলে ৫শ’ টাকা করে নিয়েছে। টাকা না দিলে চাল দেওয়া হবে না এই কথা বলাতে আমরা টাকা দিয়েছে।’
পরিষদের দফাদার শফিকুল ইসলাম সোহাগ বলেন, ‘সচিব আমাদের টাকা উত্তোলনের জন্য বলেছেন। তার কথাতেই টাকা নেওয়া হয়েছে।’
মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামকে বারবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমি অভিযোগ ও ভিডিও পেয়েছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অবরুদ্ধ সচিব হুমায়ুন কবিরকে উদ্ধার করতে সেনাবাহিনীকে অনুরোধ করা হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন বলেন, ‘আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে খবর নিয়ে দেখছি।’