সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নে টাকা নিয়ে, ভালনারেবল উইমেন বেনেফিটের (ভিডব্লিউবি)র' চাল বিতরণে পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন চামরদানী গ্রামের কয়েকজন ভুক্তভোগী।
সরকারি ভিডব্লিউবির চাল বিতরণে ২০২৩ -২৪ চক্র শেষের বর্ধিত অংশের ৬ মাসের মধ্যে ৫ মাসের বিতরণের পূর্বে চামরদানী গ্রামের রফিক মিয়া নামে এক ব্যাক্তির মাধ্যমে ওই ইউপির প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ১নং ইউপি সদস্য এই ভুক্তভোগীদের কাছে থেকে চাঁদার টাকা উত্তোলন করেছেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, সরকারি ভিডব্লিউবির চাল বিতরণে ২০২৩ -২৪ চক্র শেষের বর্ধিত অংশের ৫ মাসের বিতরণের পূর্বে চামরদানী ইউনিয়নের চামরদানী গ্রামের রফিক মিয়া নামে এক ব্যাক্তির মাধ্যমে ওই ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা লিটন মিয়া ও ১নং ইউপি সদস্য আনিসুজ্জামান আনু'র নাম বলে প্রতি ভোক্তাদের কার্ডের বিপরীতে ৫০০ করে টাকা উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে ।
এদিকে জানা গেছে, সোমবার সকাল থেকে মধ্যনগর উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের দুস্থ নারীদের সাহায্যার্থে সরকারিভাবে ভিডাব্লিউবি কার্ডের আওতায় ২২৬ টি পরিবারের মধ্যে ৩০ কেজি করে ৫ মাসের ১৫০ কেজি চাল বিতরণ করা হচ্ছিল।
চামরদানী গ্রামের বাসিন্দা উপকারভোগী আলাউদ্দিন ও খালেদা বেগম বলেন, আমাদের কাছ থেকেও টানা পাঁচ মাসের চাল দেওয়ার নামে ৫০০ টাকা করে নিছে। টাকা না দিলে চাল পাবো না বলছে। তাই আমরা টাকা দিছি।
অনল মিয়া বলেন, ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ইউপি সদস্য এ চাল বিতরণের জন্য স্থানীয় সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। আমার বড় ভাইও একজন ভুক্তভোগী। এ ঘটনায় তাদের কঠিন বিচার হওয়া দরকার।
১ নং ইউপি সদস্য আনিসুজ্জামান আনু বলেন,আমার নাম করে কে বা কাহারা টাকা নিয়েছেন এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
চামরদানী ইউপির প্রশাসনিক কর্মকর্তা লিটন মিয়া জানান, ভিডব্লিউবি চালের জন্য কোন টাকা পয়সা লাগেনা। আমার নাম ব্যবহার করে কেউ টাকা নিয়েছে বিষয়টি আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)উজ্জ্বল রায় বলেন, স্থানীয়দের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।