ভোলার মনপুরায় নির্মিতব্য বেড়িবাঁধের নিচে চাপা পড়ে এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে ভারি বৃষ্টির কারনে নির্মিতব্য বেড়িবাঁধের বালি সড়ে গিয়ে সৃষ্টি হওয়া খাদে পড়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন।
শুক্রবার (৩০ মে) বিকেল সাড়ে ৫ টায় উপজেলার ১ নং মনপুরা ইউনিয়নের মৎস্য ঘাট সংলগ্ন নির্মিতব্য বেড়িবাঁধের বালির নিচে চাপা অবস্থায় ওমর নামের ৮ বছরের ওই স্কুল ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ১ নং মনপুরা ইউনিয়নের মাছঘাট এলাকায় বিকেলে নির্মিতব্য বেড়িবাঁধের উপর দর্শনার্থীরা ঘুরতে গেলে বালির নিচে চাপা অবস্থায় শিশুটির পা দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা এসে বালি খুঁড়ে শিশুটির মৃতদেহ বের করে। শিশুটি স্থানীয় কুলাগাজীর তালুক গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনির হোসেনের ছেলে বলে জানা যায়। তবে মৃত মোঃ ওমর কুলাগাজীর তালুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মৃত ওমরের পিতা মাতা গত কয়েকদিন পূর্বে পার্শবর্তি তজুমদ্দিন উপজেলায় আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বৃদ্ধ দাদার সাহায্যার্থে ওমরকে তারা দাদাবাড়িতে রেখে যায়। কিন্তু ওমর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ রয়েছে। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজির করলেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঘুর্ণিঝড় শক্তির কারনে নৌ যোগাযোগ বন্ধ থাকায় তার বাবা মা তজুমদ্দিন থেকে আসতে বিলম্ব হয়।
এদিকে স্কুল ছাত্র ওমরের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের সদস্যদের করুন আহাজারিতে আকাশ বাতাশ ভারি হয়েছে উঠেছে।
খবর পেয়ে মৃত ওমরের বাড়িতে ছুটে গেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মিরা। এছাড়া মনপুরা থানা থেকে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে।
এব্যাপারে মনপুরা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আহসান কবির জানান, স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে। এবং সুরতহাল রিপোর্ট শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।