বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি তোতা মিয়া। দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী লীগের ক্যাডার হিসেবে বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ভিপি সাজেদুর রহমান শাহীন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এবং শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নুর ক্যাডার, বিএনপি জামায়াতের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও শক্তি প্রয়োগ করে।
সর্বশেষ রাজপথে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের সাথে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র জনতার বিপক্ষে অবস্থান নেয়।
কিন্তু হঠাৎ ৩০ মে শাজাহানপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সে দাবী করে, এতোদিন সে বিএনপি রাজনীতি করেছে। ষড়যন্ত্র করে তাকে আওয়ামী লীগ নেতা বানানো হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে তার পাশে ছিলেন, বিএনপিতে পুনর্বাসনের সহযোগিতাকারি খরনা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম মন্জু, সদস্য আবু বকর ও ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবদুল করিম।
এছাড়া জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ভিপি সাজেদুর রহমান শাহীনের ঘনিষ্ঠ অনুসারী সাবেক মেম্বার রাজেক আলী। যার পুত্র নিষিদ্ধ সংগঠন খরনা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব পলাতক।
স্থানীয়রা জানায় তোতা মিয়াকে গ্রেফতার থেকে বাঁচাতে কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে বিএনপিতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে তথ্য সুত্রে জানা গেছে, তোতা মিয়া বিগত বিএনপি শাসনামলে টিকিট কিনে বিএনপির খাতায় নাম অন্তর্ভুক্ত করে। কিন্তু দলীয় কোন কর্মকান্ডে অংশ নেয়নি।
এরপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে সে দল পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগে যোগদান করে বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ভিপি সাজেদুর রহমান শাহীনের ক্যাডারে পরিনত হয়। শাজাহানপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ব্যাক্তিগত ক্যাডার হয়।
সন্তুষ্ট হয়ে তাকে শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি পদ দেয়া হয়।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের সকল কর্মকান্ড করে আস্থা অর্জন করায় দলীয় সমর্থন নিয়ে নির্বাচনের নামে প্রহসন করে খরনা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হয়।
এতে করে এলাকায় দাপট ও ক্ষমতাধর হয়ে উঠে এবং প্রকাশ্যে বিএনপি জামায়াতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠে। এরপর তাকে আর পিছনে তাকাতে হয়নি। এখন সে ধনাঢ্য ব্যবসায়ী।
বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সকল প্রহসনের নির্বাচনেও সে আওয়ামী লীগের পক্ষে দলবল নিয়ে জনসংযোগ করে দোসরদের বিজয়ী করে এবং বছরের পর বছর আওয়ামী সুবিধা নিতে থাকে। সর্বশেষ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার বিরুদ্ধে আন্দোলনে করে।
স্থানীয়রা বলেন, এরপর আন্দোলনের তীব্রতায় শেখ হাসিনা সহ নেতাকর্মীরা পালালে নিজেকে গ্রেফতার থেকে বাঁচতে সে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের ম্যনেজ করে পুর্বের বিএনপির কার্ড প্রদর্শন করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে এখন তাকে বিএনপিতে পুর্নবাসন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।। এদিকে বিএনপিতে তার কর্মকান্ড সম্পর্কে তোতা মিয়ার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে সে সহ সভাপতি তা তিনি জানতেন না। তবে বিএনপির ইফতার পার্টিতে যেতাম।
এ বিষয়ে খরনা ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি হাফিজার রহমান কাজল ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাই সিদ্দিকী রনি জানান, তোতা মিয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি ও ক্যাডার।
ওই পদের দাপট দেখিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের অনেক অত্যাচার নির্যাতন ও পুলিশী হযরানি করেছে। যারা তাকে বিএনপিতে পুনর্বাসনের চেষ্টা করবে, দলের হাইকমান্ডকে জানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।