বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস.এম. সুলতানের শিষ্য ও শিল্পী সুলতানের হাতেগড়া শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নড়াইলের এস.এম সুলতান শিশুস্বর্গের চিত্রাংকন বিভাগের শিক্ষক সমীর মজুমদার মৃত্যুবরণ করেছেন।
আজ শনিবার (৩১ মে) ভোর ৫টার দিকে ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর।
চিত্রশিল্পী সমীর মজুমদারের বাড়ি নড়াইল সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের পংকবিলা গ্রামে। সম্প্রতি তিনি ডায়াবেটিস, লিভার, কিডনি, শ্বাসতন্ত্রসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন।
তার মৃত্যুতে নড়াইলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।শনিবার বেলা ১১টার দিকে প্রয়াত এই শিল্পীর মরদেহ নড়াইলে এসে পৌঁছালে প্রথম সুলতান মঞ্চে নড়াইলের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করা হয়। এরপর মরদেহ তার প্রিয় প্রতিষ্ঠান শিশুস্বর্গে আনা হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহকারী কমিশনার লিখন কুমার রায়, জেলা কালচারাল অফিসার রাকিবিল বারী, খুলনা আর্ট কলেজের সাবেক শিক্ষক চিত্রশিল্পী বিমানেশ চন্দ্র বিশ্বাস,
নড়াইল এস.এম সুলতান বেঙ্গল আর্ট কলেজের অধ্যক্ষ চিত্রশিল্পী অনাদি বৈরাগী, এস.এম সুলতান কমপ্লেক্স-এর কিউরেটর তন্দ্রা মুখার্জি,
চিত্রশিল্পী নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর প্রতিনিধি গ্যালারি সুপারভাইজার মিজানুর রহমান,সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নড়াইলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান
এরপর প্রয়াত শিল্পীর মরদেহ পংকবিলা গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয় এবং শনিবার বিকালে নিজ বাড়ির অঙ্গিনায় তাকে সমাধিস্থ করা হয়।
প্রসঙ্গত, চিত্রশিল্পী সমীর মজুমদার ১৯৭০ সালের ৬ মার্চ নড়াইলের পঙ্কবিলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। প্রয়াত এই শিল্পী ১৯৯৪ সালে খুলনা আর্ট কলেজ থেকে বিএফএ (ব্যাচেলার অফ ফাইন আর্টস) পাশ করেন।
তিনি শিল্পের বিভিন্ন মাধ্যমে ( যেমন-তেল রং, জল রং, চারকোল, কলম, কাঠ, পেন্সিল, এক্রেলিক ও ভাস্কর্য) একাধারে কাজ করেছেন। নড়াইলের সুলতান মঞ্চের শিল্পী এস.এম সুলতানের আবক্ষ ভাস্কর্য তাঁর হাতে তৈরি।
প্রচার বিমুখ এই শিল্পীর মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।