গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় আনোয়ারুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির গোয়াল ঘরে প্রায় ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি বকনা গরু ধারালো ভারী অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এঘটনায় আনোয়াররুল ইসলাম বাদি হয়ে তার সাবেক ভায়রা ভাই আংগুর মিয়াকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের দশলিয়া গ্রামে অভূতপূর্ব এ ঘটনাটি ঘটে। আনোয়ারুল ইসলাম ওই গ্রামের বাসিন্দা।
ঘটনার বিষয়ে তিনি জানান,আমরা স্ব- পরিবারে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় থাকি।সেখানে কাজকর্ম করে অনেক কষ্ট করে ৫/৬ মাস আগে গরুটি কিনে শ্বাশুড়ীকে লালন পালন করার জন্য দেই।
এরইমধ্যে আমার শ্যালিকা খোতেজা বেগমের সাথে তার স্বামী আংগুর মিয়ার সাথে দাম্পত্যে কলহ বিবাদ সৃষ্টি হয়।সম্প্রতি তাদের দু,জনের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।এরপর ওই শ্যালিকা ঢাকায় আমার বাসায় গিয়ে কাজকর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকেন।
স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর আমার ভায়রা ভাই প্রায়ই তার স্ত্রীকে বাড়িতে পাঠানোর জন্য আমাকে ফোন দেন।কিন্তু আমার শ্যালিকা পুনরায় তার সাথে সংসার করতে অস্বীকার করেন। বিষয়টি আগুর মিয়া কে জানানো হলে তিনি আমার ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।
একপর্যায়ে আমাকে প্রাণনাশসহ নানা ধরনের হুমকি ধামকি দেন।এরইজের ধরে আগুর মিয়া ঘটনার রাতে শত্রুতামূলক ভাবে আমার গরুটিকে গর্দান কেটে হত্যা করেছে।
স্থানীয়রা জানান,ঘটনার রাতে দূর্বত্তরা গরুটির গর্দানে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়েছে।
এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় এলাকাবাসি হতবিহ্বল হযে পড়ছেন। তারা দুস্কৃতিকারী কে খুঁজে বের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান।এদিকে আগুর মিয়া অভিযোগের বিষয়টি জানতে পেরে তিনি আরে বে-পরোয়া হয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে প্রকাশ্যে হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
আনোয়ারুল ইসলাম শ্বাশুড়ী জেলেখা বলেন, গরুটা কয় মাস থেকে লালন পালন করে আসছি।হঠাৎ রাতে গরুটির গোঙানীর শব্দ শুনতে পেয়ে তড়িঘড়ি করে ঘর থেকে আমি বের হই।আমি হওয়ার সাথে সাথে আগুর মিয়া আমার সামন দিয়ে পালিয়ে যায়।
এরপর গোয়াল ঘরে গিয়ে রক্তাত্ত অবস্থায় মেঝের মধ্যে গরুটি নিথর দেহ দেখতে পেয়ে তিনি চিৎকার দিয়ে ওঠেন।তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে গরুটির রক্তাত্ত অবস্থায় দেখতে পান। শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযোগের আলোকে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।শনিবার সাদুল্লাপুর উপজেলা ভেটেনারী কর্মকর্তা মৃত গরুর সুরুতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তাজ উদ্দিন খন্দকার। তিনি বলেন এব্যাপারে একখানা অভিযোগ হয়েছে।তদন্ত সাপেক্ষ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।