নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ঝড়ো হাওয়া ও উচ্চ ঢেউয়ের কারণে একটি যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যসহ ৫ জন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া ৩৩ জন যাত্রীকে জীবিত এবং একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) বিকেল ৩টার দিকে হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের করিমবাজার ঘাটের কাছাকাছি ডুবারচর নামক এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার সময় ট্রলারটি হাতিয়ার ভাসানচর ঘাট থেকে ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। যাত্রীদের মধ্যে পুলিশ, আনসার সদস্য, রোহিঙ্গা রোগী এবং বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিরা ছিলেন।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা জানান, দুপুর ২টার দিকে ট্রলারটি যাত্রা শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টা পর ভাসানচর থেকে প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার দূরে পৌঁছালে, প্রবল ঝড়ো বাতাস ও উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুবারচরের কাছে ডুবে যায়।
ঘটনার পরপরই বিষয়টি নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড এবং নৌপুলিশকে জানানো হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযানে আশপাশে থাকা ট্রলারগুলোর সহায়তায় ৩৩ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
এদের মধ্যে দুইজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৫ জন, যাদের মধ্যে এক পুলিশ সদস্যও আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি আজমল হুদা। উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশের সদস্যরা।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাত পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে এবং নিখোঁজদের সন্ধানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।