কুমিল্লায় পাঁচ দিন যাবত বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে দুই উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা। জেলার দেবিদ্বার এবং মুরাদনগর উপজেলার লক্ষাধিক গ্রাহক বিদ্যুতের এমন সংকটে রয়েছে। এতে এসব গ্রাহকের ফ্রিজে রক্ষিত মাছ-মাংস এবং অন্যান্য হিমায়িত খাদ্য পচে গেছে।
এদিকে বিদ্যুৎ সংকটে ওই দুই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বহুতল ভবনের বাসিন্দারা চরম বিপাকে পড়েছেন।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, চলমান নিম্নচাপে সৃষ্ট ঝড়-তুফানে পল্লী বিদ্যুতের বহু লাইনের তার, পুল, ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে জেলার দেবিদ্বার এবং মুরাদনগর উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের অধিকাংশ ফিডার বন্ধ রয়েছে। এতে দুই উপজেলার ৯০% গ্রাহক বিদ্যুতের সরবরাহ পাচ্ছে না।
ফলে এসব এলাকার গ্রাহকদের ফ্রিজে রাখা হিমায়িত সব ধরনের খাদ্য পচে গেছে। বিশেষ করে পাকা ভবন এবং বহুতল ভবনের বাসিন্দারা চরম বিপাকে পড়েছে। এসব ভবনে মোটরে পানি উত্তোলন করতে না পারায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এতে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন বহুতল ভবনের বাসিন্দারা।
অপরদিকে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ গত পাঁচ দিন যাবত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন করতে না পারায় গ্রাহকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
পল্লী বিদ্যুৎ দেবিদ্বার জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আকিয়াব হোসেন জানান, চলমান ঝড়ে দেবিদ্বার এবং মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৪টি পোল ভাঙছে, ১০ জায়গায় ক্রসআর্ম ভাঙছে, ৩৫ জায়গায় তার ছিঁড়েছে, ৪টি খুঁটি ভেঙে পড়েছে। কতটি ট্রান্সফার নষ্ট হয়েছে এখনো তা বলা যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে চলমান ঝড়ে আমাদের পল্লী বিদ্যুতের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমাদের কর্মচারীরা অবিরাম কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করি দুই-এক দিনের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে