সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বেরসিক জনতার হাতে প্রেমিক আটক

ধনবাড়ী(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি
  ০৯ জুন ২০২৫, ১৮:৩২
বেরসিক জনতার হাতে প্রেমিক আটক
যায়যায়দিন

প্রেমের মরা জলে ডুবে না একথাটি বাস্তবে রূপ দিতেই তাদের প্রেম ভালোবাসা। সেই প্রেম ভালোবাসা বিনিময় করতে গিয়ে রবিবার (৮ জুন) রাতে স্থানীয় জনতার হাতে আটক হন প্রেমিক যুবক শরীফ হোসেন। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের ধননবাড়ী উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নের হাযরাবাড়ী গ্রামে।

স্থানীয়রা জানাযায়, হাজরাবাড়ী এলাকার ইদ্রিস আলীর বিবাহিত কণ্যা ১ সন্তানের জননী ইসমত আরা(২৩) ও পাশের কদমতলী গ্রামের ছানোয়ার হোসেন ছানা’র তালাক প্রাপ্ত এক সন্তানের জনক ছেলে শরীফ হোসেন (২৮) এর সাথে দীর্ঘদিন যাবত প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক চলে আসছিলো। গতকাল রাতে ঈদের শুভেচ্ছা ও প্রেমের ভালোবাসা বিনিময় কালে এলাকাবাসি এক রুমের ভিতরে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে স্থানীয় এলাকাবাসী। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে গতকাল রাতেই পায়তারা চালায় স্থানীয় কয়েক মাতাব্বর বলে জানায় প্রত্যেক্ষদোষীরা।

1

এঘটনায় আটক হওয়া প্রেমিক শরীফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আমার প্রেমিকা ইমতআরা এক সন্তানের জননী। তার সাথে আমার দীর্ঘ ৫ মাস যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। প্রতিনিয়তই দেখা করে অসংখ্য বার শারিরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছি। গতকাল রবিরার(৮ জুন) রাতে ইমত আরা’র সাথে যোগাযোগ করে আমি ওদের বাড়ীর ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে কথা বলার সময় স্থানীয় লোকজন ধরে ফেলেন আমাদের কে। তবে এখন আমি বিয়ে করতে চাইলে আমার প্রেমিকা ইসমত আরা ও তার পরিবার বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে গেছে গতকাল ররিবার রাতেই। আজ সোমবার এখন পর্যন্তও তারা বাড়ী আসেনি। এখন আমাকে উল্টো মিথ্যা ভাবে ফাঁসানোর জন্য পায়তারা করা হচ্ছে। আমি সঠিক বিচার দাবী করছি।

প্রেমিকা ইসমত আরার কাছে এবিষয়ে জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

স্থানীয় ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আয়ুব আলী ও এলাকাবাসী হযরত আলী, বাদল হোসেন, সোহেল রানা ও আকবর হোসেন জানান, ইসমত আরা কে তার পরিবার এই উপজেলার পৌরসভার বর্ণিচন্দবাড়ী এলাকার রহুল আমীনের কাছে বিয়ে দেয়। সেই ঘরে একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। কিন্তু সে মেয়ে সেখানেও তার স্বামীর সাথে ঝামেলা করে বাপের বাড়ী চালে এসেছে। ওই স্বামীর নামে টাঙ্গাইল কোর্টে একটি মামমলা দায়ের করেছে। আবার গতকাল রাতে তালাকপ্রাপ্ত এক সন্তানের জনক কদমতলী এলাকার শরীফের সাথে একি রুমে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে। এখন ইসমত আরা ও তারা পরিবার বাড়ী ছেড়ে পালিয়েছে। এঘটনায় সঠিক বিচার হওয়া দরকার।

ইসমত আরা’র স্বামী রহুল আমিন জানান, ইসমত আরার অন্য ছেলের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক জানতে পারায় কথা কাটাকাটি হলে বাপের বাড়ী চলে আসে। পরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেন। এখন তার অপকর্ম আজ তো ধরা পড়ল এলাকাবাসীর হাতে। এরকম মহিলাদের উচিৎ বিচার হওয়া দরকার।

এঘটনায় ধনবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এস এম শহিদুল্লাহ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মেয়ে বা তার পরিবার অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে