দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ৯ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার পাড়াতো চাচার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
অভিযুক্ত যুবকের নাম নুরন্নবী ইসলাম (২১)। সে ওই এলাকার টংগুয়া কছির পাড়ার শফিকুল ইসলাম ও লাকি বেগমের ছেলে। অভিযুক্ত যুবক সম্পর্কে ভুক্তভোগী ওই শিশুর চাচা হবেন। তাঁরা ওই এলাকার পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে সোমবার (৯ জুন) দুপুরে খানসামা থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করেছেন।
শিশুটির পরিবার ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৮ জুন) বিকেলে ভুক্তভোগী ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা-মা পার্শ্ববর্তী একটি চাতালে ধান ও খড় শুকানোর কাজে ব্যস্ত ছিল। এসময় অন্য শিশুদের সাথে ভুক্তভোগী ওই শিশুও বাড়ির সামনে খেলাধুলা করছিলো।
এই অবস্থায় পানির তৃষ্ণা হলে অভিযুক্ত নুরুন্নবী ইসলামের বাড়িতে যায় শিশুরা। এই সময়ে সুযোগ পেয়ে অভিযুক্ত যুবক ওই শিশুকে জোরপূর্বক তাঁর শয়নকক্ষে নিয়ে গিয়ে মুখ চেপে ধর্ষণ করে। এই সময়ে ওই যুবক অজ্ঞান অবস্থায় ভুক্তভোগীকে রেখে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি টের পেয়ে অভিযুক্ত যুবকের বাবা-মা স্কুল ছাত্রীকে বাড়ির বাহিরে রেখে আসে। পরে সহযোগী শিশুদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর বাবা-মা শিশুকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।
ভুক্তভোগী ওই শিশুর মা বলেন, আমার নাবালক মেয়ের উপর এই জঘন্য অত্যাচারের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত করে খানসামা থানার ওসি নজমূল হক বলেন, স্পর্শকাতর এই বিষয়ে অভিযোগ পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রাথমিক তদন্ত শেষে মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারসহ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে থানা পুলিশ সর্বদা সজাগ রয়েছে।
স্থানীয়রা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।