রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলাধীন রাইখালী ফেরীঘাট সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীতে জোয়ারে পানিতে ভাসমান অবস্থায় আসা ১১ বছরের একটি শিশু কন্যার মরদেহ দেখা গেলে স্থানীয় জনগণ মরদেহ টি উদ্ধার করে ফেরীর পাশে নিয়ে আসেন। পরে চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ এর সদস্যরা মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে থানায় নিয়ে আসেন।
মঙ্গলবার (১০ জুন) বেলা সাড়ে ১২ টায় এই উদ্ধারের ঘটনা ঘটে বলে জানান চন্দ্রঘোনা থানার ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল।
এ ব্যাপারে ওসি আরোও জানান, চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের রাইখালীর বাসিন্দা রিক্সা চালক জনৈক মো. আব্দুল গনির বাড়িতে চট্টগ্রাম ষোলশহর এলাকায় বসবাসকারী তার মেয়ের পরিবার ও পাশ্ববর্তী প্রতিবেশী ভোলা জেলার একটি পরিবার সহ মোট ছয় জন সদস্য ঈদ উপলক্ষে বেড়াতে আসেন।
মঙ্গলবার(১০ জুন) সকাল ৯ টায় কোদালা সোলতানিয়া মাদ্রাসার পাশে জাহাঙ্গীর ড্রাইভার ঘাটায় রিক্সা চালক মো. আব্দুল গনির নাতি মোহাম্মদ ইমন (৬) ও ভোলা থেকে বেড়াতে আসা আট বছরের মেয়ে কর্ণফুলী নদীতে খেলার সময় গভীর পানিতে তলিয়ে যায়। দুপুর সাড়ে বারটায় মেয়েটির মরদেহ চন্দ্রঘোনা রাইখালী ফেরীঘাট কর্ণফুলী নদীতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা গেলেও রিক্সা চালক মো: আব্দুল গনির নাতির লাশ উদ্ধার করা যাই নাই।
রিক্সা চালক মো. আব্দুল গনি জানান, সবার অজান্তে খেলা করার সময় তার নাতি ইমন ও ভোলা থেকে আসা ছোট মেয়েটি কর্ণফুলী নদীতে তলিয়ে যায়। মেয়েটির মরদেহ উ*দ্ধার হলেও তার নাতি ইমন এখনো নিঁখোজ রয়েছে। ইমনের পিতার নাম মো. ফোরকান।